সকল মেনু

ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর

হটনিউজ ডেস্ক :

ফরিদপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর, আলিয়াবাদ ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের অর্ধ শতাধিক গ্রাম।

এছাড়া সদরপুর, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম নতুন করে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানির তীব্র স্রোতে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ও অম্বিকাপুর ইউনিয়নের কয়েকটি সড়কের একাধিক অংশ ধ্বসে গেছে। সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ও ডিক্রির চর ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানকার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই বাঁশ-কাঠ দিয়ে উচু মাচা তৈরি করে সেখানে কষ্টের মধ্যদিয়ে দিনযাপন করছে। গবাদি পশু নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

এদিকে, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার বিস্তির্ন এলাকার ফসলী জমি। বর্তমানে বানভাসীদের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া গো খাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে অল্প কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে ফরিদপুরের মধুমতি নদীর ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পে বেশকিছু ঘরবাড়ি, একটি মসজিদ, এক কিলোমিটার পাকা রাস্তা বিলিন হয়েছে।
ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ায় নদী তীরের মানুষ তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। নদী ভাঙ্গন রোধে সেখানে বালির বস্তা ফেলা হলেও তা কোন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় এলাকাবাসী নদী ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top