ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে নতুন করে শ্রমিক নিযোগ করা হয়েছে।বন্দরে পুর্বের ১৯০ জন শ্রমিক থেকে ৪৩৪ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে । বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি চালু হয় ১৯৯৭ সালে। ক্রমান্বয়ে এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ হয়েছে। চার দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে চার শত ট্রাক পণ্য আমদানি রপ্তানি হচ্ছে। বন্দরে শ্রমিক স্বল্পতার কারনে পণ্য আমদানি রপ্তানিতে দির্ঘদিন ব্যাহত হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় পণ্য খালাসের দীর্ঘসূত্রতায় মালবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি জমে থাকতো। পণ্য আমদানির পর খালাশের জন্য দুর্ভোগের শিকার হয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় তার মধ্যে পাথর অন্যতম। এই বন্দরের রাজস্ব আয়ের অন্যতম মাধ্যম এই পাথর । তাই বন্দরে ব্যাবসায়ীক ধারা অব্যাহত রাখতে লোড আনলোডের জন্য এটিআই লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারাদার নিয়োগ করা হয়। বিএলপিএল কর্তৃক সরকারের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এটিআই প্রতিষ্ঠানকে বাংলাবান্ধা বন্দরে ট্যারিফ শিডিউল অনুযায়ী লোড আনলোড চার্জসহ লেবার হ্যান্ডলিং কাজ দেয়ায়। তারা সুষ্ঠু কাজ পরিচালনার স্বার্থে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বন্দরে নতুন করে ২৪৪ জন শ্রমিক নিযোগ দেয়া হয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সরকারের রাজ রেজি প্রাপ্ত কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং রাজ ২৩০৫ এর ২ শত ৮০ জন এবং রেজি নং রাজ ২৬৩৪ এর ১৫৪ জন মোট ৪৩৪ জন শ্রমিক এখন থেকে বন্দরে এটিআই লিমিটেডের অধিনে কর্মরত থাকবেন। এমন উদ্দেকে সাধুবাদ জানিয়েছে শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী সহ আমদানি রপ্তানিকারকরা। বাংলাবান্ধা ব্যতীত দেশের সকল স্থলবন্দরই লেভার হ্যান্ডেলিং ঠিকাদার দ্বারা পরিচালিত হত। অন্যান্য বন্দরে হাজার হাজার লেবার কাজ করলেও,এখানে লেবার কাজ চলত মাত্র ১৯০ জন লেবার দিয়ে। সেখানে এটিআই প্রথম থেকেই ৪৩৪ লেবার দিয়ে কাজ শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে লেবারের সাথে লোড-আনলোডিং কাজে ইক্যুইপমেন্ট ব্যবহার হবে। রেজি নং রাজ ২৩০৫ এর সভাপতি গোলাম রসুল ও রেজি নং রাজ ২৬৩৪ এর সভাপতি আকতারুল এবং সাধারন সম্পাদক জানান এতদিন ধরে যারা টাকা,মেধা,সময়,ধ্যান-জ্ঞান খরচ করে বন্দরটাকে সন্তানের মতো মানুষ করেছে এবং আমাদের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে। আমরা শ্রমিকরা তাদের কাছে চির রীনি। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা জানান, বন্দরের উন্নয়নের সার্থে আমরা কাজ করছি। বন্দরকে কি ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই লক্ষে আমরা কাজ করে আসছি। তবে একটি মহল বন্দরকে অচল করার জন্য অপপ্রচারণা চালাচ্ছে এবং ভুয়া সংবাদ প্রচারণা করছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, যে পণ্য আমদানি করা হয় তার মধ্যে পাথর অন্যতম। বর্তমানে এই বন্দরে শ্রমিক নিযোগ করা হয়েছে যা পুর্বের ১৯০ জন শ্রমিক থেকে ৪৩৪ জন শ্রমিকের সংখ্যায় দারিয়েছে। এতে করে এই বন্দরে ৪৩৪ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।