নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা: রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে পলাশবাড়ী উপজেলা শহরের দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ডের সরকার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকা ও একই সড়কের জুনদহতে শনিবার সকালে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়। একজন শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জ থেকে পলাশবাড়িগামি শ্রমিকবাহি একটি ট্রাক্টর ও রংপুর থেকে বগুড়াগামি এস.এন ট্রাভেলস্ যাত্রীবাহি বাসের সংঘর্ষে ৩ জন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই নিহত এবং গুরতর আহত অজ্ঞাত পরিচয় একজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। সেসময় ৭ জন আহত হয়। পলাশবাড়ি থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সুত্রে এ তথ্য জানা যায়। ঘটনাস্থলে নিহত শ্রমিকরা হলো- গোবিন্দগঞ্জের রুদ্রনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (২৫), শুটকু মিয়ার ছেলে খসরু (২৩) ও সাদেকুর রহমানের ছেলে রাজু মিয়া (২৬) ও অপর একজন অজ্ঞাত পরিচয়। এছাড়া গুরুতর আহত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের আব্দুর রশিদ, নাজমুল হক, স্বাধীন মিয়া, আতোয়ার রহমান, রাসেল মিয়া, আছমা বেগম ও শফিক মিয়া আশংকাজনক অবস্থায় পলাশবাড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ থেকে পলাশবাড়ীগামী একটি ছোট হ্যান্ড ট্রাক্টরে নির্মাণ শ্রমিকরা পলাশবাড়ি আসছিল। ট্রাক্টরটি পলাশবাড়ির সরকার পেট্টোল পাম্পের কাছে বিপরীতদিক থেকে আসা দ্রুতগামি ওই বাসটির ডানপাশের একটি চাকা হঠাৎ করেই পাংচার হয়ে যায়। ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ওই ট্রাক্টরের উপর ওঠে পড়লে এই মারাত্মক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রাক্টরের ড্রাইভার পলাতক রয়েছে। বাসটিকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া একই সড়কে পলাশবাড়ি উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের জুনদহ এলাকায় ঢাকা থেকে রংপুরগামি রড সিমেন্ট ও এঙ্গেল বোঝাই দ্রুতগতির একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেললে তা হঠাৎ করেই উল্টে যায়। ফলে ওই ট্রাকের উপর বসা ও সড়কে চলাচলকারি যাত্রীরা ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ৭ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি নিহত ও ১৩ জন আহত হয় বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। একজন গুরুতর আহত ব্যক্তি জানিয়েছেন, তার বাড়ি রংপুরের জলঢাকা। সেইসুত্রে ধারণা করা হচ্ছে নিহত ও আহতরা ওই এলাকারই হতে পারে। ফায়ার বিগ্রেডের ও পলাশবাড়ি থানা পুলিশ দ্রুত গতিতে সংগঠিত দুটি দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং উল্টেপড়া ট্রাকটি উদ্ধারসহ তার নিচে চাপাপড়া লাশগুলো উদ্ধার করে। নিখোঁজ শিশুটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতদের পরিবারকে মৃত দেহ সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন ও আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।