গৌরাঙ্গ লাল দাস,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে প্রেমিকের মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে বের হয়ে চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানায় মূল অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ বিশ্বাস (১৯), তার বন্ধু বিপ্লব সরকার (২০), সহযোগি অখিল সরকার (২১), চন্দন বিশ্বাস (২৩) ও শ্যামল শীলকে (২০) আসামী করে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শনিবার ধর্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার বিকালে কাশিয়ানী উপজেলার জিকাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ধোপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর (১৩) সাথে ১ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে পার্শ্ববর্তী দীঘড়গাতী গ্রামের বিধান বিশ্বাসের ছেলে প্রসেনজিৎ। শুক্রবার বিকালে দেখা করার কথা বলে মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে জিকাবাড়ী গ্রামে ডেকে আনে প্রসেনজিৎ। পরে জিকাবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে ঝোপের মধ্যে নিয়ে প্রসেনজিৎ তার বন্ধুদের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে প্রসেনজিৎ ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা বলে উপজেলার কুমারিয়া বাজারে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় স্কুলছাত্রী ওই বাজারের এক নারীর কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং বিষয়টি তাকে জানায়।
পরে তিনি স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শনিবার প্রসেনজিৎকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।কাশিয়ানী থানার এসআই প্রকাশ কুমার বোস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনার মূল আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ওই শিক্ষার্থী আদালতে এ ঘটনার স্বীকারোক্তি মূলক জনাবন্দী দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।