এস,আই মল্লিক, ঝিনাইদহ: জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে আবারও ঝিনাইদহ সদরের চুয়াডাঙ্গা গ্রামের দুটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে র্যাপিড অ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের দুটি বাড়ি মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা হয়েছে। একটি বাড়ি মহেশপুরের বজরাপুরে নিহত জঙ্গি তুহিনের এবং অপর বাড়িটি তার চাচাতো ভাই প্রান্তের বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তার। এখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে জেলার মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামে ৭ মে সকাল থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ঢাকা থেকে আসা বোম্ব ডিসপোজাল টিম এবং পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই জঙ্গি আস্তানায় আত্মঘাতী হামলায় দুই জঙ্গি নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন সিটিটিসি এডিসি নাজমুল ইসলাম, এসআই মুজিরুর রহমান ও ডিএসবির এসআই মহসীন। এ সময় একতলা ওই বাড়ির মালিক জহুরুল ইসলাম, তার ছেলে জসিম ও ভাড়াটিয়া আলমসহ চারজনকে আটক করা হয়।
একই দিন জেলা সদরের নেবুতলায় মৃত শরাফত হোসেনের বাড়িতে জঙ্গি আস্তনা সন্দেহে ঘিরে রাখে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এর আগেই শরাফত হোসেনের দুই ছেলে শামীম (২২), হাসান (৩৫) ও তাদের এক বন্ধুকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৮ মে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮টি বোমা, ১টি নাইন এমএম পিস্তল ও ৬টি গ্রেনেড পাওয়া যায়।
এর আগে ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনেপাড়ায় জঙ্গি আস্তনায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন সাউথ প’ বা দক্ষিণের থাবা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের অভিযানে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে বিস্ফোরক তৈরি রাসায়নিক ভর্তি ২০টি ড্রাম, একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স বোরের পিস্তল, একটা ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাঁচটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।