সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : হতদরিদ্র পরিবারের এক নিরীহ কলেজ ছাত্রকে মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাদাঘাট এলাকার ছাত্রলীগ নামধারী কিছু দুবৃক্তরা।’ উপজেলার বাদাঘাটের আলহাজ¦ জয়নাল আবেদীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠ থেকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সহপাঠির সাথে থাকা অবস্থায় বাদাঘাটের শহিদুল্লাহ মীরের ছেলে ও বাদাঘাট সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু মীর (১৭)কে ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন দুবৃক্তরা মারধর করে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশ ফাড়িতে সোপর্দ করে।’ এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করেছে।’
জানা গেছে, বিগত ২০১৬ সালে ২ নভেম্বর রাতে চাল পড়া চোর শনাক্তকরণ, অপমানে বিষপানে যুবকের আত্বহত্যা ও মামলা দায়েরের পর ৪ নভেম্বর নিরীহ ব্যবসায়ী মানিককে নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগে পরিবার মামলা করলে দৈনিক যুগান্তর সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয়, আঞ্চলিক দৈনিকে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। এদিকে উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটে গত ৩০ জানুয়ারী রাতে হোটেল পরিস্কার করতে গিয়ে ময়লা ছেড়া ফাড়া বিভিন্ন খেলাধুলার পোষ্টার হোটেল মালিক বাজারের গলিতে ফেলে দিলে বাজারের দু’ নৈশ প্রহরি শীতের প্রকোপ ঠেকাতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। এদিকে হত্যা কান্ডের সংবাদেও প্রকাশের জের ধওে সাংবাদিকদেও ওপর পাল্টা প্রতিশোধ নিতে মানিক হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক পৈলনপুর গ্রামের মৃত রহিছ মিয়ার ছেলে মাসুক ও তার সহযোগীরা একই গ্রামের দর্জি জীবন তালুকদার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ঝুমুর তালুকদারকে দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ঐ ঘটনার ২দিন পর ১ফেব্রƒয়ারী একই গ্রামের সহপাঠি দর্জি জীবন কৃঞ্চ তালকদারের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি পরিচয়ধারী ঝুমুর জীবন কৃঞ্চ তালকদারকে বাদী বানিয়ে হয়ে দৈনিক যুগান্তরের তাহিরপুরের ষ্টাফ রিপোর্টার, ও সুনামগঞ্জ প্রতিদিনের ষ্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের সংবাদের তাহিরপুর প্রতিনিধি বাদাঘাট সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী আলম শেখ ও সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু মীর সহ তিন জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরী করে।’ এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনকে চাঁপে ফেলতে বহুল আলোচিত মানিক হত্যাকান্ডের আসামী ও তাদের লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে কৌশল অবলম্বন করে শাসকদলের ক্ষমতা কাটিয়ে ঝুমুর তালুকদার একাধিক মানববন্ধন কর্মসূচি পালনও করেছেন ।
এদিকে কলেজ ছাত্র রাজুর পিতা শহিদুল্লাহ মীর ও প্রত্যক্ষদর্শী কলেজ সহপাঠি সুমন মিয়া,কামড়াবন্দ গ্রামের জাফরুল ইসলাম জানান, ঝুমুর তালুকদার, মানিকের ছেলে রাহাত, ও হত্যা মামলার আসামী মানুকের ভাগ্নে মাহবুব সহ তাদেও সাথে থাকা ৮- থেকে ১০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে রাজুকে স্কুলে মাঠ থেকে আমাদের সামনেই মারধোর করে মোটর সাইকেল তুলে নিয়ে গিয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে তারাই তদন্তকারী এসআই রফিককে খবর দিয়ে নিয়ে এসে তার হাতে তুলে দেয় রাজুকে।’ অভিযোগ রয়েছে সাধারন ডায়েরীর তদন্তকারী অফিসার এসআই রফিক মিয়ার বিরুদ্ধেও ইতিপুর্বে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে চারাগাঁও সীমান্ত থেকে ১’শ পিস ইয়াবা সহ এক মাদক কব্যবসায়ীকে আটক করে পরদিন ৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলটে উধাও করে দিয়ে মাত্র ২০ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে রফাদফা করার সংবাদ প্রকাশ হলে তিনিও বেশ কয়েকমাস ধরে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আর অতি উৎসাহী হয়ে মাসুকের প্ররোচনায় ওই এসআইর মদদেই শুক্রবার পুলিশের ভুমিকা পালন করলো কিছু ছাত্রলীগ নামধারী দুবৃক্তরা। ’ তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর শুক্রবার দুপুরে বলেন এ ঘটনায় রাজুকে গ্রেফতারের পর থানায় নিয়মিত মামলা ডায়েরী ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাজুকে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই রফিক নিজেই পুলিশ ফাঁড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছেন।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।