কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বাউল সম্রাট মরমী সাধক ফকির লালন শাহের ১২৬তম তিরোধান (মৃত্যুবার্ষিকী) দিবস উপলক্ষে গতকাল রবিবার থেকে শরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী উৎসব ও লালন মেলা। গতকাল রবিবার ছিল তার মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা ১২৯৭ সালের পহেলা কার্তিক বাউল সম্রাট লালন শাহ মারা যান। ‘আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হোক আমাদের দিন বদলের অনুপ্রেরণা’- এ প্রতিপাদ্য বাস্তবায়িত করতে বাউল সম্রাট’র ১২৬তম তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠানমালাকে সাজানো হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি গতকাল সন্ধায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসের (মৃত্যুবার্ষিকী) অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান, পিপি এডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, জিপি এডভোকেট আক্তারুজ্জামান মাসুম, কুমারখালী পৌরসভার মেয়র শামসুজ্জামান অরুন, লালন একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাইজাল আলী খান। মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী।
এদিকে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে থাকবে র্যাব ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ। তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় সাঁইজির আখড়া বাড়িতে বসেছে সাধুর হাট। আখড়াবাড়ি পরিণত হয়েছে সাধু-গুরু-বাউলদের হাটে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় ও কুষ্টিয়া লালন একাডেমির আয়োজনে পালিত হচ্ছে এ তিরোধান দিবস।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।