হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের চার দিনের বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার দিল্লীতে শুরু হচ্ছে।
আলোচনা সূচিতে সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার থাকলেও এই বৈঠকে গুরুত্ব পাবে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতে কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি।
এদিকে গত ১৫ জুলাই উলফা এক বিবিতিতে অনুপ চেটিয়াকে সম্মানজনকভাবে ভারতের কাছে হস্তান্তরের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। তারা বলেছে অনুচ চেটিয়াকে অবশ্যই আইনানুগভাবে হস্তান্তর করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কামাল উদ্দীন বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বৈঠকে সীমান্ত-ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া নিরাপত্তা সহযোগিতা-সংক্রান্ত চুক্তির অগ্রগতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে।
এসব বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়গুলো নিয়েও দুই পক্ষ আলোচনা করবে। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে মানবপাচার রোধের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত একটি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অণু বিভাগের এক কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবদের নেতৃত্বে যৌথ কর্মদলের বৈঠক হবে। এরপর শুক্রবার বৈঠক হবে সচিব পর্যায়ে।
তবে শনি ও রোববার বিরতি দিয়ে আগামী সোমবার সংক্ষিপ্ত বৈঠক ও যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এই বৈঠক শেষ হবে।
ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই আলোচনায়, সীমান্ত-ব্যবস্থাপনার আলোচনায় ’৭৪-এর সীমান্ত চুক্তির প্রটোকল বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সাক্ষর হওয়া সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিডিএমপি) প্রয়োগ কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা-ও পর্যালোচনা করা হবে।
এ ছাড়া সীমান্তে নিরপরাধ লোকজনের হত্যা বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ বরাবরের মতো শক্ত অবস্থান তুলে ধরবে।
নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়ে মাদক, মানব ও অস্ত্র পাচার বন্ধ নিয়ে আলোচনা হবে। নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ হিসেবে উভয় দেশই পালিয়ে থাকা চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়ে তালিকা বিনিময় করবে।
নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতে ইতিমধ্যেই বন্দী বিনিময় চুক্তিসহ চারটি চুক্তি সই হয়েছে। এসব চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং শান্তিপূর্ণ সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ নিয়েও আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।