রাইসুল ইসলাম, পার্বতীপুর,দিনাজপুর: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টিত বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আবাসিক এলাকায় নিত্য নৈমিত্তিক চুরি ও অপরাধ মূলক ঘটনা ঘটতে থাকায় এর নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত ২২ মার্চ গভীর রাতে খনির আবাসিক এলাকায় বসবাসরত বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উপ-মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) গোপাল চন্দ্র সাহার বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে নগদ অর্থসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি যায়। এর আগে বিভিন্ন সময় ঘটে একাধিক চুরি ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড।
এঘটনায় খনির সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মাসুদুর রহমান হাওলাদার বাদী হয়ে গত ২৫ মার্চ পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় চোররা নির্বিঘ্নে খনির দুই স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি (পুলিশ ও প্রাইভেট নিরাপত্তা রক্ষী) অতিক্রম করে আবাসিক এলাকায় ঢোকে। তারা খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) গোপাল চন্দ্র সাহার ঘরের জানালার গ্রীল কেটে বেডরুমে থাকা স্টিল আলমারী ভেঙ্গে নগদ ৭৫ হাজার টাকা, ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ১টি (স্যামসং গ্যালাক্সী) মোবাইল সেট নিয়ে নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যায়। এর আগে বিভিন্ন সময় খনির ভিতর থেকে মূল্যবান তামার তার ও অন্যান্য ধাতব পর্র্দাথ চুরির একাধিক ঘটনা ঘটে। এমনকি খনি চত্তরে অবাধে বহিরাগত নারীর প্রবেশ ও শ্লিলতাহানীর (২০১৫ সালের ১৪ আগষ্ট) ঘটনা ঘটেছে বলে আইন শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতিক চুরির ঘটনায় গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে পুলিশ পার্বতীপুর শহরের রোস্তমনগর মহল¬া থেকে সফি আহম্মেদের ছেলে মুরাদ ওরফে খাটো মুরাদ (২২) ও দিনাজপুর শহরের ষষ্টিতলা মোড়ের নুর আলমের ছেলে সাগর মমিন (২৮) কে গ্রেফতার করে।
নিরাপত্তার বিষয়ে খনির সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মাসুদুর রহমান হাওলাদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, টুইন-টাওয়ারে বিমান হামলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হচ্ছে, আর বড়পুকরিয়া কয়লা খনিতে চুরির ঘটনা, এটা কি তেমন ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে?
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।