রাইসুল ইসলাম, পার্বতীপুর, দিনাজপুর: পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে আমদানী করা বিদেশী যন্ত্রপাতি আসা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে যন্ত্রপাতির প্রথম চালানের কয়েকটি কার্গো খনিতে এসে পৌঁছেছে। খনিতে আমদানীকৃত এসব বিদেশী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ ভূগর্ভে স্থাপনের পর যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ হওয়া খনি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করা হবে বলে খনির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন। মধ্যপাড়া কাঠন শিলা খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) সূত্র জানায়, খনিতে ভু-গর্ভে নতুন স্টোপ (নতুন শিলা উৎপাদন ইউনিট) নির্মানসহ খনির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের অভাবে প্রায় ৬ মাস আগে থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে জিটিসি’র ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন দেশ থেকে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে আমদানী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেগুলো খনিতে আনা হচ্ছে। এসব মালামালের কন্টেইনারগুলো দেশে পৌছার পর চট্রগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খনিতে আসা শুরু হয়েছে। বিদেশী যন্ত্রপাতি খনির ভূ-গর্ভে বসিয়ে নতুন স্টোপ (নতুন শিলা উৎপাদন ইউনিট) উন্নয়ন এবং পাথর উত্তোলন শুরু করা হবে ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে বলা হয়েছে। খনি সূত্র জানায়, মধ্যপাড়া খনি কর্তৃপক্ষকে গত বছরের আগষ্ট মাসে পেট্রোবাংলা প্রায় ১শ’ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করে। তারা ঋণ পাওয়ার পর ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এলসি (ঋণপত্র) খোলে। এলসি খোলার পর পরই মাইনিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহের জন্য দ্রুত কাজ শুরু করে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। এদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র দ্বারা প্রতিদিন খনি থেকে প্রায সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর উৎপাদন হওয়ায় খনিতে পাথরের যে মজুদ গড়ে উঠেছিল ইতিমধ্যে তার পুরোটাই বিক্রি হয়েছে। প্রয়োজনীয় মাইনিং যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের অভাবে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে খনির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।