সকল মেনু

ইউপি নির্বাচন :৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

indexভোলা প্রতিনিধি: ইউপি নির্বাচনের ভোলার বিভিন্ন উপজেলার এলাকাগুলোতে সংঘর্ষ, হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে। এতে কমপক্ষে দেড়শতাধিক লোক আহত হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগ এনে ভোলা ও বোরহানউদ্দিনের ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। এছাড়া ভোলা, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানের ৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে কমপক্ষে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। চলছে ভোট গননা।
সরেজমিনে ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় যে, ইউপি নির্বাচন-২০১৬ উপলক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ভোলার ৩৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ৩৫ ইউপিতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও অন্য সংগঠনের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরনোয়াবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট কন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সংর্ষের ঘটনা ঘটে এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। সেখানে কিছুক্ষণের জন্য ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও পরবর্তীতে পুনরায় আবার ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়।
চরসামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের বড় চরসামাইয়া দাখিল মাদ্রাসার ৪নং ভোট কেন্দ্রে দুই সদস্য (ভেনগাড়ী ও তালা মার্কা) প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল ও ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৫জন গুরুত্বর আহত হন। এছাড়া ভোলুমিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে বোরহানউদ্দিনের কুতুবা ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়ার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পুলিশ ২০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এছাড়া, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৮০ জন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আটক করা হয়েছে ১০ জনকে। সহিংসতার কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত কেন্দ্রগুলো হলো-ভোলা সদরের ধনিয়া ও বাপ্তার ইউনিয়নের দুটি, বোরহানউদ্দিনের কুতুবা ইউনিয়নের দুটি ও দৌলতখান উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে।
এদিকে, কেন্দ্র দখল, প্রভাব বিস্তার, এজেন্টদের মারধর ও জালভোটসহ নানা অভিযোগ এনে ভোলা সদরের বাপ্তা ও বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নে বিএনপির দুই ও আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ভোলা সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী হাসান তৌফিক রিহিন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নুরুল আমিন নীরব ও একই ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী শেখ সাদী হাওলাদার। ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, জাল ভোট ও কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে তারা ভোট বর্জন করেন।
ভোলা জেলা নির্বাচন কমিশনার মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, ভোলার ৩৫ ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন অভিযোগ এনে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন এমনকি সহিংসতার কারণে ৭ ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে ভোট গননা চলছে। সকল কেন্দ্রের ভ্টো গননা শেষ হলে ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top