হটনিউজ ডেস্ক: প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে স্টক পৌঁছানোর আগেই স্টক আউট হলো স্যামসাং এর লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস- গ্যালাক্সি এস৭ এজ!
ঢাকা, মার্চ ১৪, ২০১৬- প্রথম বারের মতো দেশের বাজারে আসার আগেই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে গ্যালাক্সি এস৭ এজ-এর প্রি-বুক সর্বোচ্চ সংখ্যায় দাঁড়িয়েছে। এরই মাধ্যমে বাংলাদেশের মোবাইল শিল্পের ইতিহাসে প্রি-বুকিং-এর রেকর্ড ভাঙ্গল স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশ।
গ্যালাক্সি এস৭ এজ স্যামসাং এর লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস যার মোড়ক উন্মোচিত হয় গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ এর বার্সেলেনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে। তখন থেকেই এই ডিভাইসটি বিশ্বব্যাপি দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং আগের ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসগুলোর মতোই এস৭ এজ-এর জন্যও স্যামসাং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রি-বুকিং শুরু করে।
স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ থেকে বাংলাদেশে এ ডিভাইসটির প্রি-বুক অনলাইন পোর্টাল চালু করে এবং এ ডিভাইসটি আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা যেকোনো ডিভাইসের প্রি-বুক রেকর্ড ভাঙে।
স্যামসাং এর এই লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসটি দুটি রঙে বাংলাদেশের বাজারে আসছে; ব্ল্যাক ওন্যাক্স এবং গোল্ড প্লাটিনাম। প্রি-বুকিং অফারে আরও ছিলো দুটি আকর্ষণীয় বান্ডেল: একটি হলো-একটি গিআর ভিআর এবং অন্যটি- একটি লেভেল ইউ প্রো ও সুদৃশ্য ক্লিয়ার কাভার।
এই ডিভাইসটি বিশ্বব্যাপি আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে এবং বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে। আকর্ষণীয় বান্ডেলের সঙ্গে এই প্রি-বুক অফার, ‘মাই এস৭ এজ উইক’ ও ‘আর্ন ইউর এস৭ এজ’ ক্যাম্পেইনগুলো এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে শীর্ষ হ্যান্ডসেট সমালোচকদের পর্যালোচনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারই ফলশ্রুতিতে প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার গ্রাহক গ্যালাক্সি এস৭ এজ ডিভাইসটি অনলাইন পোর্টালে প্রি-বুক করেন। এবং মাত্র ১৫ দিনে, প্রি-বুক অর্ডারের সময় শেষ হওয়ার ২ দিন আগেই ৩ হাজার জন প্রি-বুক নিশ্চিত করেন।
স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের হেড অব মোবাইল হাসান মেহেদী বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি অভূতপূর্ব অর্জন। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আমরা এই ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসটির জন্যই গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সাড়া পেয়েছি। সব সময় স্যামসাং-এর পাশে থাকা এইসব গ্রাহকের স্যামসাং ব্র্যান্ডের ওপর আস্থা আমাদের গর্বিত করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্যামসাং, গ্রাহকদের এই অকল্পনীয় সমর্থনের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।’
স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানী লিমিটেড সম্পর্কে
অভিনব এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোঃ লিঃ বিশ্ব পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে টিভি, স্মার্টফোন, পরিধানযোগ্য ডিভাইস, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ডিজিটাল অ্যাপ্লায়েন্স, প্রিন্টার, মেডিকেল সরঞ্জাম, নেটওয়ার্ক সিস্টেম, সেমিকন্ডাকটর এবং এলইডি সলিউশনে যুগান্তকারী সমাধান প্রদান করছে। স্মার্ট হোম এবং ডিজিটাল হেলথ ইনিশিয়েটিভ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি “ইন্টারনেট অফ থিংস” এ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বিশ্বজুড়ে ৮৪টি দেশে ৩২০,০০০ জন কর্মী কাজ করে এবং বাৎসরিক আয় ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।