ক্রীড়া ডেস্ক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৪ মার্চ : তামিম আর সাকিবময় ম্যাচে ওমানকে উড়িয়ে দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে উঠলো বাংলাদেশ। ধর্মশালার এই ম্যাচে টাইগারদের জয় ৫৪ রানের (ডিএল মেথড)। সুপার টেনে লাল-সবুজরা নামবে পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৮০ রান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ওমানের সামনে সবশেষে টার্গেট দাঁড়ায় ১২ ওভারে ১২০ রান। তবে, ৯ উইকেট হারিয়ে তারা মাত্র ৬৫ রানে থেমে যায়। মাত্র দুই ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেন।
ডাচদের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৩ আর আইরিশদের বিপক্ষে ৪৭ রান করা তামিম এ ম্যাচেও নিজের সেরাটা দিয়ে খেলেন। ৩৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করা বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ৬০ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া তামিম ৬৩ বলে ১০টি চার আর ৫টি ছক্কায় করেন ১০৩ রান।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সবশেষ ম্যাচে ধর্মশালার মাঠে নামে বাংলাদেশ ও ওমান। দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওমান দলপতি সুলতান আহমেদ। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতে নামেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। লালচেতার বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেন ২২ বলে দুটি চারে ১২ রান।
দলীয় ৪২ রানের মাথায় টাইগারদের ওপেনার সৌম্য সরকার বিদায় নিলেও উইকেটে জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান। ৫৫ বলে ৯৭ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন সাব্বির। ইনিংসের ১৬তম ওভারে বিদায় নেন সাব্বির। এশিয়ার সেরা এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। মাত্র ২৬ বলে ডানহাতি এই টাইগার ব্যাটসম্যান ৫টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান।
সাব্বিরের বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে জুটি বাধেন সাকিব আল হাসান। এ জুটি থেকে আসে আরও ৪১ রান (২৪ বলে)। সাকিব ৯ বলে দুই চার আর একটি ছক্কায় ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের দলীয় শতক আসে ৭৬ বলে। ১০৫ বলে টাইগাররা ১৫০ রান করে।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৮১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামে ওমান। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদ ফিরিয়ে দেন জিসান মাকসুদকে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হন ওমানের ওপেনার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আল আমিন ফেরান ৮ রান করা খাওয়ার আলিকে। রান আউট হয়ে ফেরেন ১৩ বলে ১৩ রান করা আদনান ইলিয়াস।
ওমান ইনিংসের ৭ ওভার শেষে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির পর আবারো মাঠে গড়ায় খেলা। নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নামে ওমান। তাদের নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫২ রান।
ইনিংসের নবম ওভারে সাকিবের বলে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন আমির কলিম। একই ওভারে স্ট্যাম্পিং হন আমির আলি।
দ্বিতীয়বার বৃষ্টির পর ওমানের টার্গেট দাঁড়ায় ১২ ওভারে ১২০ রান। দশম ওভারে মাশরাফি ফিরিয়ে দেন ২৫ রান করা জাতিন্দির সিংকে। আবারো বোলিংয়ে এসে সাকিব নিজের তৃতীয় উইকেটটি তুলে নেন। মেহরান খান সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। একই ওভারে নতুন ব্যাটসম্যান হয়ে আসা সুলতান আহমেদকেও ফেরান সাকিব। শেষ ওভারে সাব্বির নেন লালচেতার উইকেটটি।
টাইগারদের হয়ে চারটি উইকেট দখল করেন সাকিব আল হাসান। ৩ ওভারে ১৫ রান খরচায় সাকিব চারটি উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন, সাব্বির, মাশরাফি ও আল আমিন।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, আবু হায়দার রনি, তাসকিন আহমেদ ও আল-আমিন হোসেন।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।