ঢাকা, ২৬ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়নে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারীর উন্নয়ন নিশ্চিত না হলে দেশের টেকসই উন্নয়নও সম্ভব নয়। তাই নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নেও নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউনিসেফ আয়োজিত ‘গ্লোবাল জেন্ডার মিটিং’ এক শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সেমিনার থেকে স্পীকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায়ও সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। এ অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ’র বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেইগবেডার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
ইউনিসেফের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর গীতা রাও গুপ্তা এ কর্মশালায় ‘দি জেন্ডার ত্র্যাকশন প্ল্যান এন্ড দি এসডিজি’স হোয়াট আর দি স্টেক ফর ইউনিসেফ’? শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
স্পিকার বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। নারীর ক্ষমতায়নকে নিশ্চিতকরণে নারীদের অর্থনৈতিক, সামজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে আরো সম্পৃক্ত করতে হবে।
অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীদের আরো বেশী অংশগ্রহণের লক্ষ্যে তাদের জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ জেন্ডার সমতা, প্রসবকালিন মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসসহ দারিদ্র দূরীকরনের মাধ্যমে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে অর্জন করেছে। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলেও নারীদের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, তৈরি পোষাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। এ খাতে কর্মরতদের অধিকাংশই নারী। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরো গতিশীল ও টেকসই করতে তৈরি পোষাক শিল্পসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবী নারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা, ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।