সকল মেনু

টাঙ্গাইল উপ-নির্বাচন : কাদের সিদ্দিকীর ‘গামছা’, সোহেলের ‘নৌকা’

টাঙ্গাইল উপ-নির্বাচন : কাদের সিদ্দিকীর ‘গামছা’, সোহেলের ‘নৌকা’ প্রতীক
টাঙ্গাইল উপ-নির্বাচন : কাদের সিদ্দিকীর ‘গামছা’, সোহেলের ‘নৌকা’ প্রতীক

টাঙ্গাইল, ২২ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : টাঙ্গাইল উপ-নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীসহ চার প্রার্থী প্রতীক পেয়েছেন। প্রতীক পাওয়ার পর প্রচার শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন।
হাই কোর্টের নির্দেশনার পর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাওয়া কাদের সিদ্দিকী তার ভাই লতিফ সিদ্দিকীর ছেড়ে দেওয়া এই আসনে উপ-নির্বাচনে লড়বেন দলীয় প্রতীক ‘গামছা’ নিয়ে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে আছে।
এছাড়া বিএনএফ এর আতাউর রহমান খান ‘টেলিভিশন’ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইমরুল কায়েস ‘আম’ প্রতীক পেয়েছেন।
প্রতীক পাওয়ার পর কাদের সিদ্দিকী জয়ের আশা প্রকাশ করে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সবার আগে সরকারি দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানাব। সরকারি দলের প্রার্থীরও একই মনোভাব থাকা দরকার। জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, তবে সেটা হবে সরকারের সফলতা।
তবে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গহণ করতে হাই কোর্টের নির্দেশনার বিরুদ্ধে আপিল করার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের। সেক্ষেত্রে আপিলের নিষ্পত্তির পরই জানা যাবে, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা।
আগামী ১০ নভেম্বর ভোট দিয়ে তাদের মধ্য থেকে টাঙ্গাইল-৪ আসনের নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নেবেন কালিহাতীর ভোটাররা।
হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করায় টাঙ্গাইল-৪ আসন শূন্য হয়। ওই আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে কাদের সিদ্দিকী, তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী ও তার দলের আরও তিনজনসহ মোট দশজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
গত ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান ঋণ খেলাপি হওয়ায় কাদের ও নাসরিনসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। ১৮ অক্টোবর তাদের আপিল নাকচ করে দেয় নির্বাচন কমিশনও।
নির্বাচন কমিশনের এই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও প্রার্থিতা ফিরে পেতে ২০ অক্টোবর হাই কোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী। বুধবার ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট কাদেরের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
এরপর উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র তুলে নেন কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের অপর দুই প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী ও হাসমত আলী। এছাড়া জাতীয় পার্টির (জেপি) সাদেক সিদ্দিকীও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে শেষ পর্যন্ত চারজন বৃহস্পতিবার প্রতীক নিতে আসেন।
এদিকে হাই কোর্টের নির্দেশনার পর গতকাল বুধবার কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি ন্যায় বিচারে বিশ্বাসী। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট আইনের শাসন রক্ষা করার চেষ্টা করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top