ঢাকা, ১৭ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থল সীমান্ত চুক্তির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহল বিলুপ্তি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মনের জানালা খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের মধ্যদিয়ে দু’দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙ্গে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। যার ধারাবাহিকতায় ছিটমহল বিলুপ্তির মাধ্যমে স্থল সীমান্ত চুক্তির সফল বাস্তবায়ন, দু’দেশের মধ্যকার সন্দেহের সব দেয়াল ভেঙ্গে মনের জানালা খুলে দিয়েছে।’
মন্ত্রী আজ দুপুরে ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে ডিসিসিআই আয়োজিত ‘রিজিওনাল কানেক্টিভিটি: অপরচুনিটি এন্ড চ্যালেঞ্জেস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ঢাকায় নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠসহ ভুটান, ভারত এবং নেপাল দূতাবাসের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাগণ সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, একদিন অনেকেই ভারত-বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলো। কিন্তু ছিটমহল বিলুপ্তির মাধ্যমে দীর্ঘ ৬৮ বছরের সমস্যার সমাধানের নজীর এখন বাস্তবতা। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়েও অনেকের মধ্যে সংশয় ছিল,আজ আর কোন সংশয় নেই।
ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারি নাগাদ পদ্মা সেতুর পাইলিং শুরু হয়ে যাবে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রগুলো প্রসারিত করতে হলে আমাদের মনের সংকীর্ণতাকে পরিহার করতে হবে। নিরাপত্তা আসলে কোন সমস্যা নয়। তবে, বড় দেশ হিসেবে ভারতকে এক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে ।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তার অযুহাতে বিদেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে রেড এলার্ট জারি আমাদের প্রতি সুবিচার নয়, এটি দুর্ভাগ্যজনক। তিনি দু’জন বিদেশী নিহত হবার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করে বলেন, এজন্য বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে না।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দোকার গোলাম মোয়াজ্জেম। আরো বক্তৃতা করেন- ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব:) মো. খুরশেদ আলম,ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা দিবাঞ্জন রায়, ডিসিসিআই’র সভাপতি হোসাইন খালেদ, অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ,এ কে ডি খায়ের মুহাম্মদ খান,মো.হুমায়ুন রশিদ প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্ত:দেশীয় সড়ক যোগাযোগের সুফল নিতে হলে আমাদের নিজস্ব সড়ক যোগাযোগের অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরী। সে লক্ষেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী সেমিনারে বেশ কয়েকটি মহাসড়ক নির্মাণ এবং ফোরলেনে উন্নয়নের কাজের বর্তমান অবস্থা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্নফুলী নদীর নিচে দিয়ে সুড়ঙ্গ সড়ক নির্মান এবং মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের বর্তমান অগ্রগতি এবং সম্ভাব্য কাজ শেষ হবার তারিখ উল্লেখ করেন। তিনি সড়ক ও রেল যোগাযোগের সম্প্রসারনে সরকারের আরো বেশ কয়েকটি মেগা পরিকল্পনার ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান।
সেমিনারে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল (বিবিআইএন) এর সরাসিরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনকে বাণিজ্য সম্প্রসারণে ইতিবাচক পদক্ষেপ উল্লেখ করে এজন্য সড়ক যোগাযোগের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব দেশের আন্তরিকভাবে সচেষ্ট থাকার উপর গুরুত্বারোপ করেন।-বাসস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।