ঢাকা, ১৫ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ টেকসই কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আরো আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানিয়ে বলেন, এ জন্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৫ উদ্যাপিত হচ্ছে বলে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। দিবস উপলক্ষে খাদ্যউৎপাদন, গবেষণা, সম্প্রসারণ, বিপণনকাজে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। জাতীয় সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে কৃষি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। জনসংখ্যাবৃদ্ধি, ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধিসহ নগরায়নের ফলে প্রতিনিয়ত কৃষিজমির পরিমাণ কমে আসছে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে দেশের কৃষিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, তারপরও সরকারের সময়োপযোগী নীতি ও পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশের কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, উন্নয়নকর্মী ও সম্প্রসারণ কর্মীগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ নিম্নআয়ের দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রেখে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে জোরালো প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনসাধারণের জন্য আর্থিক ও বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিশুদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তাসহ দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য সামাজিক উন্নয়নে এ ধরণের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খাদ্যউৎপাদনকে অধিক উৎসাহিত করে এমন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আরো বিস্তৃত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তিনি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছরের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক সুরক্ষায় কৃষি’ অত্যন্ত যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে।-বাসস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।