সকল মেনু

জনগণই হবে দুর্যোগ মোকাবিলায় বড় শক্তি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ফাইল ফটো
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ফাইল ফটো

ঢাকা, ১২ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জনগণই হবে দুর্যোগ মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় শক্তি।
আগামীকাল আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রতি এ আহবান জানান।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের সুদীর্ঘ অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরও গতিশীল করতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং জানমাল ও পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা অনেকাংশে সম্ভব।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘জ্ঞানই জীবন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ইতোমধ্যে আধুনিক উদ্ধার সরঞ্জাম ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছি। নগর পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণ জরিপ সম্পাদন করা হয়েছে। সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ অব্যাহত আছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় অঞ্চলে ‘মাটির কিল্লা’ তৈরি করেছিলেন, যা ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ সকল কিল্লা স্থানীয় জ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় আজও প্রাণিসম্পদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-কে সরকারি তহবিলের আওতাভুক্ত করেন। সিপিপিকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সরকার যৌথ কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেন। যা দেশের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে একটি অনন্য মাইলফলক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে সুসমন্বিত ও সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০১০-২০১৫, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী-২০১০ এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১১, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক এর আওতায় নীতি কাঠামো সমন্বয়ের পাশাপাশি শত বছরের পরিকল্পনা হিসেবে ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও দিবসটি পালনে প্রধানমন্ত্রী সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top