সকল মেনু

এনআইডির তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করবে ইসি

এনঅইডির তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করবে ইসি
এনঅইডির তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করবে ইসি

১২ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদ নিউজ :  আগারগাঁওস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যালয়ে সুনামগঞ্জের এক নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরে জড়িত থাকায় প্রকল্পের তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করবে ইসি। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা জায়।

সূত্র জানায় সোমবার ইসির সচিব শিরাজুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেন। বূহস্পতিবার এ চিঠিটি পাঠানো হবে ।

এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বিডি টুযেন্টি ফোর লাইভকে জানান, সুনামগঞ্জের এক নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরে জড়িত প্রকল্পের তিন জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তাদের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ইসি কর্মকর্তা মারধরে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও সাংবাদিক মারধরের বিষয়ে ‘নিরব’ ইসি। ঘটনার দেড় মাসেও দু’টি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেও এখনো পর্য ন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয় নি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট ইসি কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগী সাংবাদিক।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট ইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সাংবাদিক মারধরের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হল। যখনই ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হলো তখনই অভিযুক্তরা দল পাকিয়ে এনআইডি অফিস অচল করে দিল। এখন তো মনে হয় দায়ীদের বাঁচানোর প্রচেষ্টা হচ্ছে।’

তবে প্রকল্প অফিসে নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় জড়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি। ‘একই অফিসে কয়েকদিন আগে নিজেদের কর্মকর্তাকে মারধরের জন্য বিচার হচ্ছে , আর সাংবাদিকদের বিষয়ে নিরব ইসি। এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয় নি’ বলেন লাঞ্ছিত দু’সাংবাদিকের একজন।

গত ১৯ অগাস্ট বেসরকারি টেলিভিশনের দু’সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্বপালনের সময় মারধর করে এনআইডি প্রকল্পের কিছু লোক।

প্রকল্প উপ পরিচালকের উপস্থিতিতে তার কক্ষে এ ঘটনায় ঘটায় উপ সচিব আব্দুল বারীকে প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়। কিন্তু যারা সাংবাদিকদের সরাসরি মারধর করে তাদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে এনআইডি উইং। পরে ইসি সচিবালয় আলাদা তদন্ত কমিটিও করে।

এনআইডি উইংয়ের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জড়িতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম ও মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন।

এরই মধ্যে গত বুধবার ইসির তদন্ত কমিটির প্রধান উপ সচিব ফরহাদ আহম্মদ খানও দ্বিতীয় প্রতিবেদন জমা দেন। এতে ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।

একই সময়ে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের জন্য এনআইডি অফিসের আইডিইএ প্রকল্পের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও জুনিয়র কনসাল্টেন্ট সুব্রত কুমার রাউত, মমতাজুল হক ও আরেক সদস্য হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াও শুরু হয়।

জানতে চাইলে এনআইডি উইংয়ের পরিচালক ও তদন্ত কমিটির প্রধান সৈয়দ আবু মুসা বলেন, “আমরা এখানে নিয়ম শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বেশ উদ্যোগী। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, দ্রুত তা হয়ে যাবে।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের চিহ্নিত কিছু লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনের নামে কারিগরি টিমের লোকজন অচল করে দেয় পুরো এনআইডি অফিস। এ নিয়ে সমঝোতার প্রচেষ্টা হচ্ছে। যাতে মূল হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ডেস্ক পাল্টিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top