নিরাপদনিউজ ডেস্ক, ১০ অক্টোবর ২০১৫ : ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুক্রবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ দিন দিন অলস সময় কাটিয়ে শনিবার সকাল থেকেই সাগরমুখী হয়েছেন উপকূলের কয়েক হাজার জেলে।
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর ইলিশ প্রজননের কারণে মা ইলিশ শিকার বন্ধ ছিল। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ শিকার বন্ধের এই আইন উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার করেছে কিছু অসাধু জেলে –এ অভিযোগ অনেক জেলের। তাদের অভিযোগ, দিনের বেলায় সাধু সেজে রাতে ইলিশ শিকারে মেতে উঠেছিলেন প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অসাধু জেলেরা। এমন ফাঁক-ফোকর জেনেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আর মা ইলিশের প্রতি সদয় ছিলেন বেশিরভাগ জেলে।
নোয়াখালীর টাংকির ঘাট এলাকার মৎস্যজীবী আবদুল কুদ্দুস জানান, অনেক দিন পর সাগরে নামতে পারায় খুব ভালো লাগছে। আমরাও চাই মা ইলিশ রক্ষা করা হোক। কিন্তু আমরা গরিব মানুষ। আমাদের তো সাগরে না নামলে পেটে ভাত জোটে না। তাই আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা হোক।
এদিকে, সাগরমুখী জেলেদের মধ্যে ইলিশ শিকারের আনন্দ থাকলেও বরাবরের মতো জলদস্যু আতঙ্কে ভুগছেন তারা। জেলেরা জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা তারা যথাযথভাবে মেনে চলেছেন। নিষেধাজ্ঞা শেষে আতঙ্ক নিয়েই সাগরে যাচ্ছেন তারা। তাদের নিরাপত্তা ও জলদস্যু দমনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
সাগর যাত্রার পথে ট্রলার মালিক ও মাঝি আব্দুল মিয়া বলেন, জলদস্যুদের আতঙ্ক তো আছেই। কি আর করা, পেটের টানে আতঙ্ক নিয়েই সাগরে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
পাথরঘাটা জিনতলা গ্রামের বেলায়েত হোসেন বলেন, বলেশ্বর নদীতে ইলিশ শিকার করে দশ হাজার জেলে পরিবারের ভরণ-পোষণ চলে। অধিকাংশ জেলে ঋণগ্রস্ত। বাপ-দাদার পেশা। তাই আবারো ঋণ নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ার পর সাগরে ট্রলার পাঠিয়েছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।