ঢাকা, ০৬ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : দেশের মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোতে একযোগে ভোট গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ব্যয় কমানো ছাড়াও সহিংসতা বা ঝুঁকি এড়ানোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্রমতে, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে পাঁচ দফায় দেশের ২৫৭টি পৌরসভায় সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আরও বেশ কিছু পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে অধিকাংশ নির্বাচিত পৌরসভায় প্রথম সভা হয়েছিল একই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত পৌরসভার মেয়াদ থাকে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত। আর নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে। তাই আগামী নভেম্বরের শেষ থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসই সুবিধাজনক মনে করছে ইসি।
বর্তমানে দেশে মোট পৌরসভার সংখ্যা রয়েছে ৩২৪টি। ইতোমধ্যে নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার তালিকাও পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, ২৫৭টি পৌরসভার মধ্যে ২৪৫টির নির্বাচন একযোগেই সম্পন্ন করবে ইসি। মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়ায় এবং মামলার কারণে বাকিগুলোর নির্বাচন পরে অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলোর বিভিন্ন সময় মেয়াদ শেষ হওয়া সাপেক্ষে ভোটগ্রহণ করবে কমিশন।
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, আগামী ডিসেম্বরের দিকে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ২৪৫টি পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে পাঁচ দফায় পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে কয়েক দফায় উপজেলা নির্বাচন করার সময় টানা সহিংসতায় নির্বাচন পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। এবার সে ঝুঁকি আর নিতে চায় না কমিশন। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ সব পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণের পথে এগুচ্ছে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ম্যানুয়াল ছাপানো, ভোটার তালিকা প্রস্তুতসহ সব কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নির্বাচনের খাত অনুযায়ী বরাদ্দও নির্ধারণ করছে ইসির বাজেট শাখা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বর মাসেই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বর মাসে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।