ঢাকা, ১ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে দেশের সকল খাত বিশেষ করে শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাড়ানোর বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)-এর উদ্যোগে ২ অক্টোবর দেশব্যাপী ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি শিল্প-কলকারখানা ও সেবা খাতসহ উৎপাদনের সাথে জড়িত মালিক-শ্রমিক-ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে উৎপাদনশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদনশীলতা দেশের সামগ্রিক অথনৈতিক উন্নয়নের গতিধারাকে ত্বরান্বিত করে। ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন দেশের কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার পাশাপাশি ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ প্রদানসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে উৎপাদন উপকরণসমূহের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের সকল খাত বিশেষ করে শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা সর্বোচ্চপর্যায়ে বাড়ানোর বিকল্প নেই। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে প্রয়োজন বর্ধিত উৎপাদনশীলতা’। এ প্রেক্ষাপটে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ এর গুরুত্ব অত্যধিক।
আবদুল হামিদ বলেন, শিল্প ও সেবাখাতসহ উৎপাদনের সকল স্তরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মালিক-শ্রমিক-কর্মচারিদের উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
তিনি জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে নেয়া সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।-বাসস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।