সকল মেনু

ভূ-অর্থনীতিতে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা : বিশ্ব ব্যাংক

 বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন
বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন

নিরাপদনিউজ ডেস্ক, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন বলেছেন, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাঝামাঝি। এই সুবিধা বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নের গতি অনেক বাড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক কনক্লেভে অংশগ্রহণকারী বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভৌগলিক অবস্থানের বিবেচনায় বাংলাদেশ ভূ-অর্থনৈতিকভাবে স্বতন্ত্র ও সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির গতিকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
এক দক্ষিণ এশিয়ার স্বপ্ন নিয়ে (#OneSouthAsia) দিল্লিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক কনক্লেভ (#saec15) শুরু হওয়ার আগে আজ সোমবার দুপুরে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে এক আলোচনায় ডিক্সন বলেন, বাংলাদেশ যে কেবল সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে, তাই নয়; এই সুবিধা কীভাবে কাজে লাগানো যায়, দেশটির বর্তমান নেতৃত্ব তা জানে এবং তা করতেও চায়। বাংলাদেশের জন্য সত্যিই এটা বিরাট এক সুযোগ।
বাংলাদেশ তাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে অধিকাংশ সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে, যা পাকিস্তান পারেনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থনীতি ও মানবসম্পদ উন্নয়নে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে, যা সারা বিশ্বের প্রশংসা পেয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া বলেন, ভারত বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ভারত সাম্প্রতিক সময়ে পূর্বমুখী নীতিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর বাংলাদেশকে ছাড়া সেটা সম্ভব নয়।
এ কারণে আঞ্চলিক যোগাযোগের উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়া উচিৎ মন্তব্য করে কাঠুরিয়া বলেন, এতে বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে বাণিজ্য হবে, তা থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ড ও উত্তর-পশ্চিম অংশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন থেকেও কম টাকা আসবে না।
এটি বাংলাদেশের অবকাঠামো ও পণ্য উৎপাদন খাতে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ টানার সুযোগ করে দেবে বলেও তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশের পণ্য উৎপাদন খাত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে মন্তব্য করে কাঠুরিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো যখন বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করে বাজার খুঁজবে, তখন তাদের সামনে পূর্ব ও পশ্চিম-দুই দিকই উন্মুক্ত থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top