ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনবে চীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে সেই অঙ্গীকারই ব্যক্ত করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং।
শনিবার নিউইয়র্কে ওই বৈঠকটি হয় হোটেল ওয়ার্ল্ডফ অ্যাস্টোরিয়ায়। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে ওই হোটেলেই অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মূল কর্মসূচির সাইড লাইনে গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকটি করেন শেখ হাসিনা ও জিনপিং।
বৈঠকে শেখ হাসিনা জানান তার সরকার চট্টগ্রামে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৭৭৪ একর জমি বরাদ্দ দেবে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতির প্রশংসা করেন, আর বাংলাদেশকে চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার অংশীদার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেরা বন্ধুদের একজন বলে উল্লেখ করেন।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তির কথা স্মরণ করে জিনপিং বলেন, বাণিজ্য, অর্থনীতি, যোগাযোগ ও শিক্ষাখাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করা যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে আরও পাটজাত পণ্য আমদানি করার ঘোষণা দেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মায়ানমান করিডর নির্মাণে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধাই নিশ্চিত হবে।
শেখ হাসিনা এসময় চীনা বাজারে আরও বেশি বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও আপটা রুলস অব অরিজিন শিথিল করার জন্য বলেন।
দুই নেতাই জাতিসংঘের বিভিন্ন পরিষদে দুই দেশের আরও বেশি বেশি অংশগ্রহণের ওপর জোর দেন বলে জানান ইহসানুল করিম।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দীপু মনি এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসেরও একটি প্রতিনিধি দল। কংগ্রেসম্যানদের দলটিতে ছিলেন ইউএস হাউস অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির র্যাংকিং মেম্বার এলিয়ট এল এঙ্গল, বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার জোশেফ ক্রাউলি ও সদস্য ক্যারোলিন বি ম্যালোনি।
কংগ্রেস সদস্যরা দারিদ্র বিমোচনে শেখ হাসিনার সরকারের ভূমিকার আর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এছাড়াও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা করেন মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা।
স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দীপু মনি এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।