ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ার পর এবার নিম্ন আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পে-কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ চলছে।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটিও কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল বিচার বিভাগীয় পে-কমিশন তাদের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়। পরে সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপারিশটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলানিউজকে বলেন, বিচারকদের পে কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটি কাজ করছে।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর জন্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর, নতুন পে-কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
আপিল বিভাগের বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানাকে কমিশনের চেয়ারম্যান করে নয়জনকে কমিশনের সদস্য করা হয়।
কমিশন ৫টি সভা করে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল অধস্তন আদালতের বিচারকদের বেতন-ভাতা বাড়াতে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করে।
সিনিয়র জেলা জজদের (যারা জেলা জজ হিসেবে পাঁচ বছর কর্মরত রয়েছেন) জন্য সর্বোচ্চ মূল বেতন ৮৪ হাজার টাকা সুপারিশ করা হয়। যারা এখন পান ৪০ হাজার টাকা।
জেলা জজ ও সমপর্যায়ের (পাঁচ বছরের নিচের ক্ষেত্রে) কর্মকর্তাদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। এ পদধারীরা বর্তমানে মূল বেতন পান ৩৬ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত জেলা জজদের জন্য মূল বেতন সুপারিশ করা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। তারা এখন পান ৩২ হাজার টাকা। যুগ্ম জেলা জজ ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মূল বেতন সুপারিশ করা হয়েছে ৬২ হাজার টাকা। তারা বর্তমানে ২৮ হাজার টাকা পান।
সহকারী জজদের সিলেকশন গ্রেডের ক্ষেত্রে মূল বেতন ৪২ হাজার টাকা সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পান ১৮ হাজার টাকা।
সহকারী জজের (প্রবেশ পদে) মূল বেতন সুপারিশ করা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তাদের বেতন ১৬ হাজার টাকা।
সুপারিশে বিচারকদের জুডিসিয়াল ভাতার বিষয়ে বলা হয়, মূল বেতনের ৩০ শতাংশ হারে বিচারকদের ভাতা দিতে হবে। এ ভাতার অন্য কোনো নাম দেওয়া যাবে না। এটি অবশ্যই জুডিসিয়াল ভাতা নামে থাকবে।
এছাড়া বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রেষণে বা অন্য কোথাও কর্মরত থাকলেও এ ৩০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বর্তমানে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা প্রেষণে এলে বিচারকদের ভাতা ১০ শতাংশ কমে যায়। বিচারকদের মাসিক চিকিৎসা ভাতা ৭শ’ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫শ’ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি নির্বাহী বিভাগের জন্য টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করে অষ্টম জাতীয় পে-স্কেল অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এতে সর্বোচ্চ বেতন ৭৮ হাজার টাকা (নির্ধারিত) ও সর্বনিম্ন আট হাজার ২শ’ ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এতে আগের মতো ২০টি গ্রেড বহাল রাখা হয়েছে। টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়া হলেও নতুন বেতন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘বাংলা নববর্ষ ভাতা’। মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে এ ভাতা পাবেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।