সকল মেনু

একনেকে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ ৭টি প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ ৭টি প্রকল্প অনুমোদন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্ব করেন

ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এখানে চীনা কোম্পানীগুলোকে আকৃষ্ট করার জন্য একটি অনুকূল বাণিজ্য পরিবেশ এবং স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৪২০ কোটি টাকা লাগবে। বেপজা ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
একনেক চেয়ারপার্সন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চলতি অর্থবছরে একনেকের ৭ম বৈঠকে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় মন্ত্রীবর্গ ও প্রতিমন্ত্রীগণ যোগ দেন। সভায় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যগণ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক ৫ হাজার ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠাসহ মোট ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকার জাতীয় কোষাগার থেকে দেবে ২ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। বাকি ২ হাজার ১২৩ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৫টি নতুন এবং দু’টি প্রকল্প সংশোধিত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৬ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত চীনে তার সফরকালে একটি শিল্প জোন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয়ার পর চীনের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিশেষ ইকোনোমিক ও শিল্প জোন প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বেপজা বিদায়ী বছরের শেষ নাগাদ চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
চীনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি লীজ ভিত্তিতে বাংলাদেশ চীনের বিনিয়োগকারীদেরকে জমি দেবে এবং চীন মনোনীত কোন কোম্পানি ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠা করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
একনেক সভায় ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ বৃহত্তম চট্টগ্রাম জেলা পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলা নিয়ে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া সভায় ১১৮.৭৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ডাবল লিফটিং টেকনোলজির (তৃতীয় পর্যায়) মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করে সেচ সুবিধা বৃদ্ধি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
একনেক সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে ৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ (প্রথম সংশোধনী) দ্বিতীয় স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্প (এলজিএসপি-২), ৬৩.৬৬ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ বনগাঁও-নুন্নী-হাটিপাগার সড়ক প্রস্তুতকরণ ও জোরদারকরণ প্রকল্প, ৭৮.৩৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ডাক পরিবহন ব্যবস্থা জোরদারকরণ প্রকল্প এবং ৫১.৭৯ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ (প্রথম সংশোধনী) পাকিস্তানের ইসলামাবাদে চ্যান্সারী ভবন প্রতিষ্ঠা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top