সকল মেনু

আমরা যেসব স্বপ্ন দেখছি বিদেশিরা তা পূরণ করছে: অর্থমন্ত্রী

আমরা যেসব স্বপ্ন দেখছি বিদেশিরা তা পূরণ করছে: অর্থমন্ত্রী
আমরা যেসব স্বপ্ন দেখছি বিদেশিরা তা পূরণ করছে: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, আমরা যেসব স্বপ্ন দেখছি তা দক্ষতা পূরণ ছাড়া সম্ভব না। বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিদেশিরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করছে। তারা না থাকলে আমাদের যে কী অবস্থা হতো; তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সিপ) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে এডিবি ব্যাংক থেকে প্রথমে প্রস্তাব নিয়ে আসলে তেমন গুরুত্ব দেইনি। পরে প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য দেখে অর্থমন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সম্মত হয়। তারা এদেশের অদক্ষ, অর্ধদক্ষ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য এই প্রকল্প হাতে নেয়। এডিবি অনেক কষ্ট করে প্রকল্পটি তৈরি করেছে। এছাড়া তারা সবার সহায়তাও পেয়েছে। আমাদের স্বপ্ন পূরণ করছে।
তিনি বলেন, আমাদের দক্ষতার ক্ষেত্রে, ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে দৈন্যতা রয়েছে; এর থেকে বেরিয়ে আসতেই ৫ বছরের জন্য এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আমরা যে স্বপ্ন দেখছি সেগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না, দক্ষতা ছাড়া। আশা করি আমরা প্রকল্পটি ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। এই প্রকল্প দিয়ে শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন করে অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। দেশের রেমিটেন্সের পরিমাণ বাড়বে। তিনি জানান, শুধু অর্থমন্ত্রণালয় নয়, এই প্রকল্পে সঙ্গে শ্রম এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
বিজিএমইএ’র আগামী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, প্রকল্পটি বিজিএমইএ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রকল্প অংশীদার হিসেবে কাজ শুরু করেছে। গৃহীত প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন খাতে নিয়োজিত অদক্ষ, অর্ধদক্ষ কর্মজীবি গোষ্ঠীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও যোগ্যতার মানোন্নয়ন।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের অধীনে বিজিএমইএ প্রকল্পের অন্যতম সেবা সরবরাহকারী হিসেবে পোশাক শিল্পের বিভিন্ন পদ বিশেষ করে কারখানায় প্রবেশ থেকে শুরু করে মধ্যম পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা পদ পর্যন্ত দক্ষতাভিত্তিক বিভিন্ন পদে ৪৩ হাজার ৮শত দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের প্রথম মাইলস্টোন টার্গেট পূরণের পর্যায়ে বিজিএমইএ পৌঁছে গেছে। শ্রমিকদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে; যাতে তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক জালাল আহমেদ, প্রকল্প টিম লিডার রজেশ বিন পান্থ, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) রিয়াজ বিন মাহমুদ প্রমুখ। এসময় প্রকল্পের সফল ট্রেইনিদের হাতে সার্টিফিকেট ও নিয়োগপত্রও তুলে দেয়া হয়।
জানা গেছে, ২৩টা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়য়ে ২ লাখ ৬০ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৪৩ হাজারের ওপরে প্রশিক্ষণ দেবে বিজিএমইএ। এটা ৫ বছরের কার্যক্রম। যা ২০২০ সাল পর্যন্ত চলবে। খরচ পড়বে ১ বিলিয়ন ডলার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top