ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ: জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ১৪৪ জন। ২০১৫ সালে তা নেমে এসেছে ৩৮ জনে। সে হিসেবে পঁচিশ বছর আগের তুলনায় শিশুমৃত্যুর হার ৭৩ শতাংশ কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।
আর এই সময়ে বিশ্বে শিশুমৃত্যুর হার ৫৩ শতাংশ কমেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার লেভেল অ্যান্ড ট্রেইন্ড ইন চাইল্ড মরটালিটি’ শিরোনামের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক গীতা রাও গুপ্তা বলেন, “নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় অর্জন। কিন্তু এখনো অনেক শিশু এমন সব রোগে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যাচ্ছে, যেগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১৯৯০ সালে বিশ্বে যেখানে ১ কোটি ২৭ লাখ শিশু পাঁচ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যেত, সেখানে ২০১৫ সালে তা ৬০ লাখে নেমে এসেছে। এই অগ্রগতির পরও বিশ্বে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) পূরণ হচ্ছে না।
১৯৯০-২০১৫ সময়ে এই হার দুই তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ৫৩ শতাংশ কমানো গেছে।
বাংলাদেশের জন্য এমডিজিতে লক্ষ্য ছিল পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু প্রতি হাজারে ৪৮ বা তার নিচে নামিয়ে আনা। গত বছরই তা ৪৬ এ নামিয়ে এনে বাংলাদেশ লক্ষ্য পূরণ করেছে।
যে ১৯৫ দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউনিসেফ এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তার মধ্যে ৬২টি দেশ এই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে।
ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, এখনও প্রতিদিন ১৬ হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে পাঁচ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই। এদের বেশিরভাগের প্রাণ যাচ্ছে অপুষ্টি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া বা ম্যালেরিয়ার কারণে।
এসব শিশুমৃত্যুর প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রে অপুষ্টিকে দায়ী করেছে ইউনিসেফ। আর এই শিশুদের ৪৫ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে একমাস বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই।
প্রতিবেদনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্তরের শিশুদের সুযোগপ্রাপ্তির বৈষম্যকে। বেঁচে থাকার মতো পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে মরতে হচ্ছে অসংখ্য শিশুকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।