সকল মেনু

মিয়ানমার থেকে আসছে কোরবানির পশু

ঈদের আগে আরও ১০ হাজারেরও বেশি পশু আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা
ঈদের আগে আরও ১০ হাজারেরও বেশি পশু আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা

৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ করতে সীমান্তে ভারত সরকারে কড়াকড়ি আরোপ করলেও এবারের কোরবানি ঈদে দেশে গরুর চাহিদা পুরণ হচ্ছে মিয়ারমার থেকে আমদানি করা গরুর মাধ্যেম। ইতিমধ্যে ইতিমধ্যে দেশটি থেকে পাঁচ হাজারের বেশি কোরবানির পশু আমদানি করা হয়েছে।

সূত্রমতে জানা গেছে, সরকারকে উপযুক্ত রাজস্ব দিয়েই ব্যবসায়ীরা কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে গরু, মহিষ ও ছাগল আমাদানি করছে। কোরবানির ঈদের আগে আরও ১০ হাজারেরও বেশি পশু আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করিডোর হয়ে চার হাজার ১৯৪টি গরু, মহিষ ও ছাগল আনা হয়েছে। এসব পশু থেকে রাজস্ব পাওয়া গেছে ২০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এর পূর্বে গত বছর মিয়ানমার থেকে পশু আনা হয় ২৫ হাজারের মতো।

করিডোর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম জানান, সেপ্টেম্বরের চার দিনে আরও এক হাজারের মত পশু আমদানি করা হয়েছে। ঈদের আগে আরও ১০ হাজার পশু আমদানির লক্ষ্য রয়েছে। আর মিয়ানমার থেকে আসা পশুর মাংস গড়ে প্রতি মণ ১৬ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

এক গরু ব্যবসায়ী বলছিলেন, কোরবানি ঈদ উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি ক্রমাগত বাড়ছে। এসব পশুর মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো হচ্ছে এসব পশু।

বর্তমানে দেশে কোরবানি উপযোগী ৩০ লাখ গরু-মহিষ ও ৬৯ লাখ ছাগলের মজুদ রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সরকারি হিসাবমতে, এবার কোরবানিতে ৪০ লাখ গরু-ছাগল জবাই হতে পারে।

এদিকে, সীমান্তে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী ও গরু আনা শ্রমিকেরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার মুখে পড়ছেন। ভারত থেকে যাতে বাংলাদেশে গরু ঢুকতে না পারে, সে জন্য পাহারা বসিয়েছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের কর্মীরা। এতে দু-একটি স্থান ছাড়া দেশের সব সীমান্ত দিয়ে গরু আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top