সকল মেনু

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভবন নির্মাণে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভবন নির্মাণে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভবন নির্মাণে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা

ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : নির্মাণাধীন স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বহুতল ভবন নির্মাণে বৃহৎ জনযুদ্ধ একাত্তরের মতো, সমগ্র দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কতৃর্পক্ষ।
একাত্তরের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসের স্বারক সংরক্ষণে নির্মাণাধীন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে দেশবাসীর সম্মিলিত সহযোগিতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো শাণিত করে তুলবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনে আজ জাদুঘর ভবন নির্মাণের অগ্রগতি ও তহবিল সংগ্রহ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি জনযুদ্ধ ছিল, ১৯৭১ সালে কতিপয় কুলাঙ্গার ছাড়া অবরুদ্ধ বাংলাদেশের অসহায় সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান গ্রহণ না করলে মুক্তিযোদ্ধা ও শেষ পর্যায়ে মিত্রবাহিনীর পক্ষে নয় মাসে বিজয় অর্জন করা সম্ভব ছিল না। তাই, আমরা মনে করি, সর্বশ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণ ও জনগণের মালিকানায় স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কাজ সুসম্পন্ন হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য-সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, ট্রাস্টি সারা যাকের, ট্রাস্টি রবিউল হুসাইন এবং ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য এ. মতিন চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা সন্তোষের সাথে জানাচ্ছি যে, আগারগাঁও-এ আড়াই বিঘা জমির ওপর নির্মাণাধীন স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পথে। নীচে ১০৬টি গাড়ি ও প্রাপ্ত স্মারকসামগ্রী রাখার ব্যবস্থা সম্বলিত তিনটি বেসমেন্ট এবং ছয়তলা ১,৮৫০০০ বর্গফুট ভবনের সিভিল কাজ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
কয়েকমাস পরই নির্মাণাধীন জাদুঘর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে আশাবাদ ব্যাক্ত করা হয়।
ডা. সারওয়ার আলী বলেন, নতুন স্থায়ী জাদুঘর ভবন নির্মাণের জন্য এই জমিটি বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য বরাদ্দ করে এবং সরকারী বাজারমূল্যে তা ক্রয় করা হয়। সামগ্রিক নির্মাণ প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ১০২ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, নির্মাণ কাজে এ পর্যন্ত সংগৃহিত মোট তহবিলের পরিমান প্রায় ৮০ কোটি টাকা। সরকারের বাজেট বরাদ্দ ছাড়াও, শুভানুধ্যায়ী, আর্থিক ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ এমনকি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও এই তহবিলে অনুদান দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রদত্ত সকল অনুদান আয়করমুক্ত এবং এক্ষেত্রে কোন বিদেশী রাষ্ট্র অথবা সংস্থার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি আর্থিক ঘাটতি পূরণের জন্য ইতিমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান।
ডা. সারওয়ার আলী আরো বলেন, যথাযথ সাড়া পেলে নির্মাণ কাজ শেষে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে একটি তহবিল গঠন করা হবে এবং সেই অর্থে ভবিষ্যতে এই বিশাল জাদুঘরের বিভিন্ন কার্যক্রম আংশিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। সরকার ও শুভানুধ্যায়ীদের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।-বাসস

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top