সংসদ ভবন, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে বর্তমান সরকার পরিকল্পনামাফিক নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুদের প্রতি বর্তমান সরকার অত্যন্ত সংবেদনশীল।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-২০১০ এবং শিশুদের উপর নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে শিশু আইন-২০১৩ করা হয়েছে। তাছাড়া নারী ও শিশুসহ মানব পাচার রোধে একটি সমন্বিত আইন ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের ইভটিজিং রোধকল্পে বর্তমান সরকারের নির্দেশে আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করায় ইভটিজিং সংক্রান্ত অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদেরকে সমন্বিতভাবে চিকিৎসা, পুলিশী ও আইনগত সহায়তা, চিকিৎসা সেবা ও সাময়িক আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার কাজ করে যাচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় রুজুকৃত মামলা ও অভিযোগসমূহের কার্যক্রম তদারক করার লক্ষ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে গঠিত ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল’ নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এছাড়া নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য দূর করার জন্য সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি এবং জাতীয় শিশু নীতি প্রণয়ন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০১৫ প্রণয়ন, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলা সদর হাসপাতালে ৪০টি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকারী নারী ও শিশুদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রধান কার্যালয় ঢাকায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে একটি লিগ্যাল এ্ইড সেল রয়েছে। সংস্থার পরিচালনা পরিষদের ২ জন সদস্য, একজন আইনজীবী ও সংস্থার একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি দ্বারা এই সেলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি হিসেবে প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ২০(৩) ধারা মোতাবেক বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্য সমাপ্ত করার বিধান রয়েছে। এ আইনেই কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।-বাসস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।