সকল মেনু

খালা বলেন, দেশে রাজনীতি কর

Tulip_1_516785468নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৩১ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের সংসদ ভবনের সৌন্দর্য্য দেখিয়ে দেশি রাজনীতিতে জড়াতে ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টারের প্রভাবশালী রাজনীতিক হয়ে ওঠার পথে পাওয়া অভিজ্ঞতা জানাতে বসে একথা বলছিলেন টিউলিপ নিজেই।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু  হোটেলে ‘লেট’স টক উইথ টিউলিপ সিদ্দিক: ‘রোড টু ওয়েস্টমিনিস্টার’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন তিনি। সংলাপ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন  (সিআরআই)।
টিউলিপ বলেন, ‘খালা দেখা হলেই বলেন, আমাদের দেশে এসে রাজনীতি কর। দ্যাখ, আমাদের সংসদ কত সুন্দর! তিনি আমাকে সংসদ দেখিয়েছেন। সবসময়ই বলেন, বাংলাদেশে চলে আয়, এখানেই রাজনীতি কর।’
যে কোনো অর্জনের পেছনে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে মন্তব্য করে টিউলিপ বলেন, যে কোনো কিছু করবো বলে ঠিক করলে তা অবশ্যই করি। আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকি।
নারীর অগ্রগতিতে আগ্রহী বলেও নিজের সম্পর্কে বলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সদস্য।
সারির পেছনে বসা স্বামীকে দেখিয়ে তিনি বলেন, বিয়ের দিনটি সবচে’ আনন্দের
দিন ছিল। এছাড়া নির্বাচনের দিনও খুশির ছিল। আর মন খারাপ বা দুঃখের দিন ছিল যেদিন দাদা মারা গেছেন।
টিউলিপ জানান, মুসলিম হিসেবে তিনি গর্ব করেন এবং এ পরিচয়ে কেউ অরাজকতা করলে তিনি দুঃখ পান।
‘নানা-নানীকে নিয়ে বই পড়েছি। দেখিনি, অন্যের মুখে শুনেছি। ছোটবেলায় দাদা-দাদীর কাছে ছিলাম। আমরা যৌথ পরিবারে ছিলাম। স্বজনরা কাছাকাছি ছিলেন সবাই। আমার মেয়েটি সেটি পাবে না। এ নিয়ে আক্ষেপ করি।’
টিউলিপ বলেন, আমি চাই ভালো মা হতে। আমার মেয়ে যেন আমাকে সবসময় দেখতে পায়।
রাজনীতি উপভোগ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন,  আমি আমার কাজ পছন্দ করি। শীতের মধ্যে রোদের দেখা নেই, এমন সময়ও আমি আমার কাজ পছন্দ  করেছি। কারণ আমি আমার পছন্দের কাজটি বেছে নিয়েছি। ছোটবেলা থেকেই আমার পরিবার বলেছে, যা হতে চাও হতে পারো।
এ এমপি বলেন, এমন একটি পরিবারে বড় হয়েছি, যেখানে সবসময় রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হত। শিক্ষক হওয়ার বাসনা ছিল একসময়। পরে রাজনীতিতে চলে আসি।
অতীতের স্মৃতি থেকে বলেন, আমি যখন স্কুলে ছিলাম, শেক্সপিয়রের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। শমী কায়সারের সঙ্গে একটি নাটকে অভিনয় করেছি। আমি সত্যি অতীত জীবনের সবকিছু উপভোগ করি, মনে করি।
নিজের বেশ কয়েকটি ভূমিকার মধ্যে বিদেশে একটি পরিচয় তৈরি করার বিষয়টি প্রাধান্য দেন বলে জানান টিউলিপ। জানান, বঙ্গবন্ধুর নাতনি পরিচয়টিও সমান উপভোগ ও গর্ব করেন। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর বিষয়টি গর্বের বলেও জানান
টিউলিপ সিদ্দিক।
‘আমার মায়ের জীবন নষ্ট হয়েছিল রাজনীতির কারণে। ১৫ আগস্টে পুরো পরিবার শেষ হয়ে গেছে। তাই তিনি আমাকে নিয়ে ভয় পান। মা বলেন- বাবা, বোনকে দেখেছি রাজনীতিতে, এখন মেয়ের জন্য ক্যাম্পেইন করছি।‘
‘ক্যাম্পেইনে প্রচুর লোক লাগে। মা নিজের হাতে রান্না করেন। বন্ধুরা বলে, তোমার মা এত সাধাসিধে। তাকে কি খাবারের দাম দিতে হবে। তখন আমি বলি, বাংলাদেশের মানুষকে টাকা দিতে যেও না। এটা মায়ের খাবার।’
‘সিলেটের মানুষের সাপোর্ট ছাড়া জিততে পারতাম না। আমি অল্প সিলেটি বলতে পারি। তারা আমাকে বলেছেন, তুমি ঢাকার হলেও অনারারি সিলেটি।‘
নিজের সম্পর্কে টিউলিপ বলেন, সাঁতার, যোগব্যায়াম করি, ভাইয়ের বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাই। বিয়ে হলেও মা এখনও প্রতিদিন রান্না করে পাঠান আমাকে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top