বিশেষ প্রতিনিধি: কৃষিজাত ফসলে অধিক ফলনের পূর্বশর্ত হলো মানসম্মত বীজ ও আধুনিক টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার। যা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতার পাশাপাশি দেশকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের “ডেলিভারী অব জিংকরাইস” এর নন্দিত পদক্ষেপ দেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এজন্য গতকাল সকালে যশোর জয়তি সোসাইটি হল রুমে ৮৫ জন ব্রি ধান-৬২ ও ৬৪ বীজ ও ধান উৎপাদনকারী কৃষক, মিলার ও বিপনকারীদের উপস্থিতিতে এক উদ্বুদ্ধকরণ প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মহতী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হারভেস্ট প্লাস এর কান্ট্রী ম্যানেজার ড. খায়রুল বাসার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হারভেস্ট প্লাস এর কনসালটেন্ট ড. এম এ হামিদ মিয়া, ড. এম এ বাকি। হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের “ডেলিভারী অব জিংকরাইস” প্রকল্পের যশোর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবর রহমান।
হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের “ডেলিভারী অব জিংকরাইস” প্রকল্পের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীতায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারী বীজ উৎপাদনকারী সমিতি (এস এম এস পি এর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ প্রশিক্ষন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হারভেস্ট প্লাস এর এ আর ডি ও মুজিবুর রহমান, হারভেস্ট প্লাস এর অফিসার হিসাব আবু সাইদ আল মুক্তাদির, এস এম এস পি এর সভাপতি শাহনেওয়াজ আলী সৌখিন, সাধারন সম্পাদক শ্যামল কুমার পাল, কোষাধ্যাক্ষ হাসানুজ্জামান গোর্কী, হাবিব সীড কোম্পানীর মালিক এবং এস এম এস পি এর সদস্য শেখ হাবিবুর রহমান,
মানুষের শারিরিক স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধের জন্য জিংক একটি অত্যবশ্যকীয় অনুপুষ্টি উপাদান, যার অভাবে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ ভাগ শিশু এবং ৫৭ ভাগ মহিলা ও কিশোরী মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। মানুষের শারিরিক অপুষ্টিজনিত কারনে সৃষ্ঠ রোগ বালাই এর হাত থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট বিশ্বের মধ্যে এই প্রথম উচ্চ জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ ও ৬৪ উদ্ভাবন করে।
হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের “ডেলিভারী অব জিংকরাইস” প্রকল্পের যশোর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবর রহমান বলেছেন, উচ্চ জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ ও ৬৪ চাষাবাদে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে মানব দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যবশ্যকীয় অনুপুষ্টি উপাদান জিংক এর কার্যকরীতা আরও দ্রুত করতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট এর বিজ্ঞানীরা আগামী আমন মৌসুমের জন্য ব্রি ধান-৭২ ও বোরে মৌসুমে ব্রি ধান-৭৪ আবিস্কার করেছে। যা আমাদের দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।