সকল মেনু

ছাত্রীর আত্মহনন, বিতর্কিত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার

narayanganj-pic1449922221নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১২ ডিসেম্বর :  নারায়ণগঞ্জ শহরের গণবিদ্যা নিকেতনে শিক্ষকের চপেটাঘাতের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে ওই স্কুলের ছাত্রী উম্মে হাবিবা শ্রাবণী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্নাকে বহিষ্কার করেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি। একই ঘটনায় শিক্ষিকা নাসিরন বেগমকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দীর্ঘ বৈঠকে সব সদস্যের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উম্মে হাবিবা শ্রাবণী গণবিদ্যা নিকেতন স্কুলের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিল। সে নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ ছালাপট্টি এলাকার মো. হাবিবউল্লার মেয়ে। তার মা মাতৃসদনের সেবিকা সেতারা বেগম। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে শ্রাবণী দ্বিতীয়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আনোয়ার হোসেন ভূইয়া বলেন, সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার সভায় ম্যানেজিং কমিটির সব সদস্যের সম্মতি নিয়ে প্রাথমিকভাবে খন্ডকালীন শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্নাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরীক্ষা চলাকালে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষিকা নাসরিন বেগমকে ঘটনার কারণ বর্ণনা করে লিখিত আকারের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রঙ্গত গত বৃহস্পতিবার গণবিদ্যা নিকেতনে বার্ষিক পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় উম্মে হাবিবা শ্রাবণী। অসদুপায় (নকল) অবলম্বনের অভিযোগে পরিদর্শক নাসরিন বেগম শ্রাবণীকে ধরে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে যান। এ সময় ওই কক্ষে থাকা খন্ডকালীন শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্না শ্রাবণীকে উপুর্যপরি চড়-থাপ্পড় মারেন। পরিবারের কাছে অভিযোগ করবেন বলেও হুমকি দেন মুন্না। পরে ওই দিনের পরীক্ষায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। এ অপমান সাইতে না পেরে শ্রাবণী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া শ্রাবণী আত্মহত্যার কারণ হিসেবে নাসরিন বেগম ও মুন্নার নাম উল্লেখ করে চিরকুট লিখে যায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জেনারেল হাসপাতালে শ্রাবণীর ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top