সকল মেনু

তেঁতুলিয়ায় প্রকাশ্যে শতাধীক স্থানে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন

indexডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যে পাথর উত্তলন করা হচ্ছে । সমতল ভূমির অনেক গভীর থেকে অপরিকল্পিতভাবে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করায় ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন নদী ও খাল থেকে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী অসাধু ব্যক্তি । উপজেলার ভজনপুর ও দেপনগড় ইউনিয়ন বেশ কিছু এলাকার সমতল ভূমি এবং করতোয়া নদী সহ শতাধীক স্থানে বালু কাটার নামে দিনে-রাতে চলছে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তলন । এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সমতল ভূমি থেকে ফসলি জমি নষ্ট করে গভীর গর্ত করে লোক দেখানো শ্রমিক লেবার  রেখে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।

পাথর উত্তলন কাজে নিয়যিত শ্রমিক সুত্রে যানা জায় এ সমস্থ অবৈধ বোমা মেশিন চালাতে সহযোগিতা করছে অসাধু ব্যক্তি ও এলাকার গরে ওঠা বিভিন্ন সংগঠনের নেতা এবং কর্মিরা । শ্রমিকরা আরো জানান প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার এ সমস্ত  অসাধু ব্যক্তি এবং নেতা কর্মিরাে প্রতিটি মেশিন মালিকদের কাছ থেকে ১ থেকে ২ হাজার টাকা  করে নিচ্ছেন । কেউ আবার সপ্তাহে প্রতি মেশিন থেকে এক ট্রোলি (১শ ছেপ্টি) পাথর যার বাজার মুল্য ৭হাজার টাকা নিচ্ছে ।আবার  কেউ বিজিবি ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা । অসাধু ব্যক্তি ও নেতা কর্মিদের মেনেজ করতে প্রতি সপ্তাহে সকল মেশিন মালিক প্রয় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বিলি করছে ।

মেশিন মালিক সুত্রে জানাগেছে একটি মেশিন ১০ ঘন্টা চালালে ১৫ থেকে ১৭ ট্রোলি (১৫শ-১৭শ ছেপ্টি)  পাথর উত্তলন হয় । যার বাজার মুল্য প্রায় ১লক্ষাধিক টাকার উপরে । মেশিন চালাতে ৫ শ্রমিকের প্রয়জন  ১০ ঘন্টায় ৩০ লিটার ডিজেল প্রতিদিন মোট খরচা ১০ হাজার টাকা । তাই কেস মামলা দিয়ে কি হবে কাউকে পরুয়া করিনা মেশিন চালিয়ে যাবো ।

এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরে তেঁতুলিয়ার অধিকাংশ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হতে পারে এবং সমতল ভূমির নীচে বিশালাকার শুন্যতা সৃষ্টি হওয়ায় যেকোন সময় রিখটার স্কেলে ৬-৭ বা এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করেছেন জেলার পরিবেশবিদরা।

পঞ্চগড় জেলা প্রসাশনের মাধ্যমে গত নভেম্বর মাসে দুটি মোবাইল কোট অভিজান পরিচালনা করে ২ জনকে জেল ১ জনকে দুই বছরের কারাদন্ড দেয়া হলেও মেশিন চলা অব্যাহত রয়েছে । এর আগে তেঁতুলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মডেল থানার পুলিশ ও বিজিবির কয়েকটি অভিযান হয়েও বন্ধ হয়নি এই অবৈধ বোমা মেশিন ।  কোন সে রহস্যজনক কারণে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হচ্ছে না? এ প্রশ্নের জবাব চায় সচেতন এলাকাবাসী। সেই সাথে ভূ-প্রকৃতির বিশাল পরিবর্তনসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধনকারী এই অবৈধ বোমা মেশিন মালিক চক্রকে খুজে বের করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নিতে প্রসাশনসহ ক্ষমতাসীন সরকার আন্তরিক হবে এই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top