মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী ০৬ ডিসেম্বর: নীলফামারী জেলার বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের বিভিন্ন লাইব্রেরীতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাইড বই। এসব গাইড বই বিক্রি করতে ব্যবসায়ী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট শক্তিশালী হওয়ার কারণে বিভিন্ন বই ব্যবসায়িরা নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি করতে পারছে। অনেক স্কুলের শিক্ষকরা বই ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে গাইড বই ক্রয় করতে বাধ্য করছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগে জানা যায়। অথচ এসব গাইড বই প্রকাশনা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বছরের শুরুতেই মনিটরিং করলে এসব নিষিদ্ধ গাইড বই বাজারজাত অনেকটাই ভেস্তে যেত বলে মনে করছেন সচেতনমহল। এখন শহর ও গ্রামের বিভিন্ন লাইব্রেরীতে এসব গাইড বই বিক্রি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আসল মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণি নবম শ্রেণি পযন্ত বিষয়ভিত্তিক গাইড প্রকাশনীর বইগুলো শহরের লাইব্রেরীগুলোর অধিকাংশ স্থান দখল করে আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অগ্রদূত, অনুপম, জুপিটার, পাঞ্জেরী, বর্ণমালা, লেকচার, পপিসহ বহু প্রকাশনীর গাইড বই। প্রকাশনী সংস্থার লোকেরা এসব গাইড বই মোটর সাইকেল যোগে লাইব্রেরীতে পৌঁছে দিচ্ছেন অনেকটা প্রকাশ্যে। সরকারের শিক্ষানীতি বিধিমালায় প্রথম থেকে নবম শ্রেণির যাবতীয় গাইড বই প্রকাশনা ও বিক্রয় সম্পূর্ণরুপে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই ঝামেলা এড়াতে বই ব্যবসায়ীরা গাইড বই গোডাউনেও লুকিয়ে রাখছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক জানান, বই ব্যবসায়ীদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। তারা বিভিন্ন উপঢৌকন আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের কাছে পাঠিয়ে থাকেন। ফলে প্রশাসন ও শিক্ষকরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।