যশোর থেকে আব্দুল ওয়াহাব মুকুল: পাখির কল-কাকলি, কূহু-কুজন এবং কিচির-মিচিরের সাথে তিনি গড়েছেন সখ্য, পাখি তার স্বপ্ন-পাখি তার সাধনা, পাখির সাথেই প্রেম। পাখিকে দিয়েছেন নিটোল ভালোবাসার পরশ। এ জন্যই তার প্রেমের টানে চলে আসে হাজার হাজার পাখি, নিজের নামটিও রাখা পাখির নামের সাথে, অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত সেই ব্যাতিক্রমী মানুষটির নাম তোতা মিয়া। যশোরের ঝিকরগাছ উপজেলার নাভারণ চান্দের পোল ইট ভাটার সামনে একটী চায়ের দোকানদার তিনি।
নেই কোন বন বৃক্ষ ও অরন্য ফাঁকা মাঠের মধ্যেই পাখির আবাস গড়ে সবাইকে তাল লাগিয়েছেন। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত পাখির কলতান ও আবাস দেখতে ছুটে আসেন শত শত নারী পুরুষ। হাজারও দোয়েল, শালুক, বুলবুলি ও চড়াই পাখির মেলা বসে তোতার নীড়ে। পাখি দেখে অবাক হয়ে যায় পথচারি সহ শিশু কিশোররা। আয়-আয়-আয় বলে তোতা মিয়ার তিন ডাকেই নীড়ে ফেরে দেড় থেকে ২ হাজার পাখি। খাদ্য খেয়েই চলে যায় তারা।
পাখির সাথে দুর্লভ সখ্যতার এই দৃশ্য দেখ প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে চান্দর পোলে আসা নারী পুরুষেরা অপলক দৃষ্টিতে তাদেও হৃদয়ের অভিব্যক্তি বর্ননা করতে গিয়ে বলেন, সৃষ্টিব নেয়ামতকে ভালবাসলে, দ্রুত সৃষ্ঠিকর্তার সন্তষ্টি লাভ করা যায়। এজন্য সমাজে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে সবথেকে বেশি প্রয়োজন তোতা মিয়ার পাখির প্রতি ভালবাসার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে, মানুষের প্রতি ভালোবাসাবোধ জাগ্রত করতে হবে।
যশোরের নাভারন চান্দেরপেৃল গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে চা দোকানী তোতা মিয়া। প্রতিদিন রুটি, বিস্কুট ও মুড়ি ছড়িয়ে দিতেন রাস্তার পাশে ফাঁকা মাঠে। জড়ো হতে থাকে শত শত পাখি। চা দোকানী তোতা মিয়া প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ৪ বার খাবার দেন পাখিদের। মুহুত্র্ইে জড়ো হয় দেড় থেকে ২ হাজার পাখি। পাখি কলতান দেখে মনের আনন্দে হাসেন ও সুখ পান তোতা মিয়া। পাখিই তার স্বপ্ন ও সাধ। পাখির আবাসে প্রতিদিন ভীড় দর্শনার্থীদের। অবাক তারা। তোতা ডাকলে পাখি আসে অন্য কেহ ডাকলে একটি পাখিও আসেনা।
ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউুল হক বলেন শুনেই এসেছি পাখি দেখতে। তোতার পাখি পালান দেখে অবাক হলাম। সে ডাকলে পাখি আসি আমরা ডাকলে আসেনা। বিমোহিত হয়ে ফিরছে অনেকে। চেয়ারম্যান জিয়াউুল হক তোতা মিয়াকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।