মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী ২৯ আগষ্ট: স্টার জলসার বিভিন্ন সিরিয়ালের জন্য পারিবারিক ঝগড়া, আত্মহত্যা, স্বামী-স্ত্রী ছাড়াছাড়ি, সাংসারিক অশান্তি তবুও থামছে না এর আগ্রাসন। এবার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ শিার্থীদের বিপথগামী করতে লেখার খাতার কভারে স্টার জলসা, পাখি কিংবা কিরণমালা অথবা জলনূপুর ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। স্থানীয় খাতার বাইন্ডাররা খাতার মলাটে এসব সিরিয়ালের নাম ব্যবহার করছেন। দোকানে থরে থরে সাজানো এসব খাতায় বাজার ভরে গেছে। কাটতি ভালো থাকায় প্রায় সব শিার্থীরাই এসব খাতা কিনছেন।
এছাড়া আচার, লজেন্স, সুইটবল, চানাচুর, শনপাঁপড়ি আর কত কি? মিনি সাইজে ছোট্ট পলিথিনে প্যাক করা এরকম নানা শিশু প্রিয় খাবার বিক্রি হচ্ছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের গাঁও গেরামে। এসবের দামও সস্তা। পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা বড়জোর এক টাকা/দুই টাকা। বলাবাহুল্য খাবারের মান খুব খারাপ, নোংরা। খেলে নির্ঘাত পেটের অসুখ। তবুও দেদার বিক্রি হচ্ছে। স্কুলের সামনে খেলার মাঠের ধারে, হাট- বাজারে রাস্তায়- রাস্তায় ফেরি করে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এরকম কারখানা গড়ে উঠছে যেখানে এসব খাবার তৈরি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির ব্যাপারটা আছেই, আছে রুচি- অরুচির ব্যাপার। এসব মিনি সাইজের পলিথিনের প্যাকেটে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বাড়তি হিসাবে সেঁটে দেয়া হচ্ছে নানারকম ছবি। অধিকাংশ ছবি অর্ধ উলংগ দেহের। এছাড়াও আছে বিভিন্ন কায়দায় দাঁড়ানো নায়ক- নায়িকাদেও ছবি। ব খোলা নায়িকাদেরও ছবি মেলে এসব প্যাকেটের গায়ে। শহরেও যেমন অপসংস্কৃতির জোয়ার বইছে বিভিন্নভাবে, তেমনি গ্রামেও গড়িয়ে যাচ্ছে তার কিছু ঢল। কুরুচিপূর্ণ এই কাজটি করছে কেউ বুঝে, কেউ অজ্ঞতায়, কেউবা ব্যবসায়ীক স্বার্থে। এসব আকর্ষণীয় ছবি দিয়ে তারা শিশু- কিশোরদের আকৃষ্ট করতে চাইছে, সেই সাথে বিস্তার ঘটছে কুরুচির, নষ্টামির, অশ্লীলতার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।