সকল মেনু

পীরগঞ্জে পুত্রবধুর নির্যাতনে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী বাড়ী ছাড়া

unnamedএম. আর মিজান, দিনাজপুর: ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে পুত্রবধূর নির্যাতনে ঘর ছাড়া হয়েছেন শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী। স্নেহের পুত্রকে বিয়ে দিয়ে বউ ঘরে এনেও সুখ কপালে জুটলো না শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর। শেষে নিজের গৃহ থেকে শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে বিতাড়িত হতে হলো।
পীরগঞ্জ উপজেলার বৃদ্ধই গ্রামের আব্দুস সোবহান ও রওশন আরা বেগমের পুত্র আব্দুল আজিজের বিয়ে হয় প্রায় ২২ বছর পূর্বে বৈরচুনা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের কন্যা শাখিনা বেগমের। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, পুত্রবধূর অত্যাচারে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী বাড়ী ছাড়া হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছের্ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর বৃদ্ধই গ্রামে। বিয়ের পর থেকে দাম্ভিক ও রূঢ় আচরণ করতে থাকে পরিবারের সকলের সঙ্গে শাখিনা বেগম। প্রায় ২/৩ বছর পূর্বে তার স্বামী আব্দুল আজিজ স্ত্রী’র অত্যাচারে মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর স্বামীর পেনশনের টাকা ও অন্যান্য সম্পত্তি করায়াত্ত করার লক্ষ্যে শাখিনা বেগম বেপরোয়া হয়ে উঠে। সে কারো কথা মানে না ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ীসহ অন্যান্যদের সাথে রূঢ় আচরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। তাদের খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে শাখিনার সন্ত্রাসমুলক এহেন আচরণের প্রেক্ষিতে তার শুশ্বড় আব্দুস সোবহান গত ৪ মার্চ ২০১৪ ইং তারিখে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানায় শাখিনা ও মোঃ হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও থানায় একটি জিডি করে। জিডি নং-১৫৫। পরবর্তীতে গত ৪ রমজানে শাখিনার পুত্র সম্রাটকে মারধর করায় তার দাদা আব্দুস সোবহান এর প্রতিবাদ করলে শাখিনা ক্ষিপ্ত হয়ে তার শ্বশুড় সোবহানের দাঁড়ি ধরে টানা হেঁচড়া ও বুকের উপর উঠে প্রকাশ্যে মারধর করে। এ সময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজনের কারণে আব্দুস সোবহানসহ তার স্ত্রী প্রাণে বেঁচে যায়। ঘটনার প্রেক্ষিতে আব্দুস সোবহান গত ১২ আগষ্ট ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৭/১১৭ সিএস ধারা মতে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ঠাকুরগাঁও আদালতে মোঃ হাফিজ উদ্দিন, শাখিনা পারভীন, মোছাঃ মালেকা খাতুন, মোঃ কামরুজ্জামানদ্বয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা আনয়ন করেন। নির্যাতন চরমে উঠলে শ্বশুর-শ্বাশুড়ী জীবন রক্ষার্থে বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায়। এদিকে, শাখিনা বেগম এই সুযোগে বাড়ির মূল্য মালামাল পিতার গৃহে নিয়ে যায়। আরো জিনিসপত্র নেওয়ার উদ্দেশ্যে থানায় অভিযোগ করে। বর্তমানে তার শ্বশুর আব্দুস সোবহান ও শ্বাশুড়ী রওশন আরা বেগম প্যারালাসিস রোগে আক্রান্ত। তাদের দেখার কেউ নাই। তারা এখন করুণ অবস্থায় তার বোনের বাসায় অবস্থান করছেন। এলাকার মানুষ ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top