নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২২ আগস্ট : সিলেটে শিশু রাজন হত্যার পর এবার শহরতলীর ঘোপালে আরো এক শিশু শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম আকমল হোসেন(১১)। ২০ আগস্ট বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ঘোপালের ফুড মার্ক ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীর কাছে এ ঘটনা ঘটে। সে সুনামগঞ্জের পাহাড়পুর গ্রামের দিনমজুর মো. এখলাছ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত আকমলের বাবা এখলাছ মিয়া বাদি হয়ে ২জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬জনকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার দুপুর আড়াই টার দিকে ময়না তদন্ত শেষে শিশু আকমল হোসেনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার মাগরিবের পর নামাজের জানাযা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত আকমলের ৪ ভাই ও ২ বোন। ভাইদের মধ্যে আকমল তৃতীয়। পুলিশ জানায় ফেক্টরীর একটি বাথরুমের ভাঙ্গা দেয়ালের মাঝখান থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ এ মামলার আসামিরা হচ্ছে- টুকেরবাজার ঘোপালর লন্ডনী বাড়ি ও ফুড মার্ক ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীর মালিক হাজী মো. ওহাব আলী(৫৫) ও একই বিস্কুট ফ্যাক্টরীর মিস্ত্রি আব্দুর রহমান(৪০) সহ আরো ৫জন অজ্ঞাতনামা। মামলার বিবরণীতে বলা হয়- ফুড মার্ক ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে শিশু আকমল হোসেন ২বছর ধরে ১৩০০টাকা বেতনে চাকরি করে আসছিল। ঘটনার ৫-৬ দিন আগে ফ্যাক্টরীর মালিক হাজী মো. ওহাব আলী ও মিস্ত্রি আব্দুর রহমানের কাছে আকমলের বাবা এখলাছ মিয়া বকেয়া বেতনের টাকা চাইলে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকে মালিক ওহাব ও মিস্ত্রি আব্দুর রহমান শিশু আকমল হোসেনকে নির্যাতন করে আসছিল। ২০ আগস্ট বিকাল সোয়া ৪টার দিকে আকমলকে নির্যাতন করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিন পুলিশ ওসমানী হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গের হিমাগারে রেখে দেয়। রাতে ছেলের খবর পেয়ে নিহত আকমলের বাবা ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান- আকমলের মাথা থেতলানো, মুখ মন্ডলের ডান পাশে ফুলা, কান ও নাকে রক্তের চিহ্ন।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।