সকল মেনু

তুলশীরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হচ্ছে না

unnamedমো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ১৮ আগষ্ট:  ঐতিহ্যবাহী ও পুরানো মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তুলশীরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো সুবিধা, শিক্ষকদের আবাস ও ছাত্রীদের থাকার হোস্টেল, প্রশস্থ খেলার মাঠ, আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত গবেষণাগারসহ প্রতিবছর জেএসসি ও এসএসসিতে ঈর্ষনীয় ফলাফল করলেও সরকারিকরণ করা হচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী হতাশায় ভুগছেন। নারী শিক্ষার একমাত্র স্বতন্ত্র শতবর্ষী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তাই সরকারিকরণে জোর দাবি উঠেছে।

উত্তরের বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রধান সৈয়দপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র চাঁদনগরে তুলশীরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯১৪ সালে স্থাপন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ তুলশীরাম আগরওয়ালা এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে সভাপতি পদে গন্যমান্য ব্যক্তি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করলেও সরকারিকরণে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। উপজেলায় একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়টি ২.৮৩ শতক জমির প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে ১১টি কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন ২টি, ১৪ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন ২টিসহ শ্রেণি কক্ষের সংখ্যা ২২টি। শিক্ষকদের আবাসন ও ছাত্রী নিবাসে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে দুল-দূরান্তের ছাত্রীরা অবস্থান করে লেখাপড়া চালিয়ে নিতে পারেন।
আধুনিক পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিসহ রয়েছে গবেষণাগার। রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরী। প্রধান শিক্ষকের বসবাসের জন্য ৫ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনও রয়েছে। সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাব ও বিশুদ্ধ পানিসহ ওয়াশরুম রয়েছে ৫টি। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে প্রশস্থ খেলার মাঠ ও চিত্তবিনোদনের জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেন। সুরক্ষিত সীমানা প্রাচীর দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিবেষ্টিত। বিগত বছরগুলোতে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা প্রায় শতভাগ পাশের কৃতিত্ব রেখেছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্রী লেখাপড়া করছেন এবং ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছেন।
সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের ঘোষণা দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। এনিয়ে উপজেলাগুলোতে যাচাই-বাছাইও চলছে। সেই বিবেচনায় সৈয়দপুরের একমাত্র স্বতন্ত্র নারী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান তুলশীরাম বালিকা বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের জোর দাবি উঠেছে। দাবির সমর্থনে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালনে মাঠে নামবেন বলে জানা গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আমিনূর রহমান জানান, শতবর্ষী মাধ্যমিকে নারী শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানে সরকারীকরণের সকল সুযোগ- সুবিধা রয়েছে। কিন্ত সরকারিকরণ না করায় শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষ হতাশায় ভুগছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফিরোজ উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার নারী শিক্ষায় যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিয়ে উপবৃত্তিসহ নানা সুযোগ- সুবিধা দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নারীদের এগিয়ে নেয়ার কথা বিবেচনায় নিয়ে শতবর্ষী তুলশীরাম বালিকা বিদ্যালয়টিকে সরকারিকরণে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top