সকল মেনু

বাগানে ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল

Nilphamari1439191272

নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১০ আগস্ট : এ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল করোসল (corossol) ধরেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামের একটি ঔষধি ও ফলদ বৃক্ষের বাগানে। এই ফলের গাছ সংগ্রহ করা হয়েছিল আইভরি কোস্ট থেকে। ৬টি গাছের মধ্যে একটি গাছে একটি ফল ধরেছে, যা প্রচার পাওয়ায় ওই ফলটি একনজর দেখতে ভিড় করছে মানুষজন। ২ একর জমির ওই বাগানে মানবদেহের জন্য উপকারী এমন ২ শতাধিক ঔষধি ও ফলদ গাছ রয়েছে। করোসল অনেক দেশেই ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে আফ্রিকা, ভারতের উত্তর প্রদেশ ও শ্রীলঙ্কায় বেশি আবাদ হচ্ছে ফলটি, যা এখন বাংলাদেশেও পরিচিত হয়ে উঠছে। জানা গেছে, বাংলাদেশের অনেক এ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের ক্যান্সার রোগীকে ক্যামোথেরাপির বিকল্প হিসেবে করোসল ফলটি কাঁচা কেটে খাওয়াতে ভারত থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভারতে ২শ’ গ্রাম ওজনের এই ফলটির মূল্য ৯৫০ রুপি। আর এটি ওই রোগীকে খাওয়ালে নাকি ক্যামোথেরাপির প্রয়োজন হয় না। নীলফামারীর খড়িবাড়ী গ্রামের ঔষধি ও ফলদ বাগানের মালিক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আলমাস রাইসুল গনি। বিভিন্ন দেশ ঘুরে চারা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে তিনি বাগানটি তৈরি করেন। করোসল গাছটি ২০১১ সালে আইভরি কোস্ট থেকে সংগ্রহ করেন। প্রায় পাঁচ বছর বয়সি ছয়টি গাছের মধ্যে একটি গাছে একটি ফল ধরেছে। যার আনুমানিক ওজন ২৫০ গ্রাম। বাগানের প্রতিটি গাছের পরিচিতির জন্য নামসংবলিত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাগানটিতে অন্যান্য ঔষধি গাছের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন সমৃদ্ধ সালাদের জন্য এ্যাভোকদু, থাইল্যান্ডের লংআন, চিকেনএ্যাগফ্রুট, ম্যাঙগ্যাসটিন (টক আদা), জাপাটি কাবা, পিছফ্রুট, জারুল বালি (বেল জাতীয়), অলস্পাইস, পেসতা বাদাম, জাপাটি কাবা, শরিফা, আলু বোখারা। এ ছাড়া কদবেল, কমলা, সবেদা, চেরি, হরীতকী, তেঁতুল, খেজুর, চালতাসহ দুই শতাধিক ফলের গাছ। এ বাগান সঠিকভাবে পরিচর্যার জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন দুজন কেয়ারটেকার। তারা জানান, কর্নেল সাহেব ঢাকায় থাকেন। প্রতি মাসে দু-তিনবার করে এসে গাছের সঙ্গেই সময় কাটান। তিনি এলেই দিনরাত প্রতিটি গাছের কাছে গিয়ে ভালোমন্দ দেখেন ও প্রয়োজনে নিজেই পরিচর্যা করেন। এ বিষয়ে আলমাস রাইসুল গনির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে চাকরির কারণে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয়েছিল। যে দেশেই যেতাম সেখানেই খুঁজে নিতাম মানবদেহের জন্য উপকারী বৃক্ষ, যা সংগ্রহ করে নিজ গ্রামের বসতভিটায় বৃক্ষের এ বাগান তৈরির চেষ্টা চালিয়েছি।’ নীলফামারীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আফতাব হোসেন জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিককে ফলদ বৃক্ষের পাশাপাশি ঔষধি গাছ লাগানোর জন্য সরকারিভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নিজ উদ্যোগে কর্নেল আলমাস রাইসুল গনির শতাধিক ঔষধি গাছের বাগানটি উত্তরাঞ্চলের মডেল বাগান।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top