সকল মেনু

ওয়ালটনের ৪০ মডেলের সিআরটি টিভি বাজারে

mail.google.com অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: আগামি ঈদকে সামনে রেখে বিপুল পরিমান সিআরটি টিভি বাজারে ছাড়ছে ওয়ালটন। ব্র্যান্ড নিউ পিকচার টিউব দিয়ে তৈরি ৪০ মডেলের সিআরটি টিভি বাজারে এনেছে তারা। সেইসঙ্গে আকর্ষণীয় মূল্যে এলইডি টিভিও দিচ্ছে তারা। দেশে টিভি বিক্রিতে বাজারের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন এবার রেকর্ড পরিমান টেলিভিশন বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে। উল্লেখ্য, গুনগত উচ্চমান এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারনে ভারত ও নেপালসহ কয়েকটি দেশে ওয়ালটনের সিআরটি টিভি রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ওয়ালটনই টিভি রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের বাজারে এলইডি টেলিভিশনের চাহিদা বিগত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি সিআরটি (ক্যাথোড রে টিউব) টিভির জনপ্রিয়তায়। সাশ্রয়ী মূল্য, দীর্ঘস্থায়ীত্ব, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ঝকঝকে ছবি এবং উন্নত শব্দ পাওয়া যায় বলে এখনো বেশির ভাগ বিনোদন প্রেমীর আস্থা সিআরটি টিভির প্রতি।
বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সিআরটি টিভির উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। আকর্ষণীয় ডিজাইনের ৪০ টিরও বেশি মডেলের সিআরটি টিভি এনে বাজারের বড় একটা অংশ নিজেদের দখলে রেখেছে ওয়ালটন। এছাড়া শতভাগ ব্র্যান্ড নিউ পিকচারটিউব দিয়ে সিআরটি টিভি উৎপাদন করায় গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে দেশীয় এই ব্র্যান্ড। দেশের টেলিভিশন বাজারে এতোগুলো মডেল ও ডিজাইন আর কারোরই নেই।
ওয়ালটন টেলিভিশন বিপণন বিভাগের ইনচার্জ মওদুদ পারভেজ মামুন বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে সিআরটির জনপ্রিয়তাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছরই উৎপাদন বাড়াচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের নিজস্ব গবেষনা ও উন্নয়ন বিভাগের মেধা ও শ্রমে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের টিভি। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় কমে আসছে টিভির দাম।
ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার জানান, গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় উচ্চমানের সিআরটি ও এলইডি টিভি উৎপাদন করছে ওয়ালটন। ফলে উচ্চমান বজায় রেখে গ্রাহকদের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী টিভি তৈরি করতে পারছে ওয়ালটন। তিনি জানান, আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিনোদনপ্রেমীদের চাহিদা মেটাতে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি এবার ব্যাপক পরিমানে টেলিভিশন বিক্রি করবে ওয়ালটন।  তিনি বলেন, টেলিভিশন বিক্রির ক্ষেত্রে এখন ওয়ালটনের প্রতিদ্বন্দ্বি কেবল ওয়ালটনই।
দেশজুড়ে শক্তিশালী বিক্রয় নেটওয়ার্ক এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের দ্বারা দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন। টিভির যন্ত্রাংশ নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত হয় বিধায় দ্রুততম সময়ে সেবা পৌছে যায়।
ওয়ালটনের সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র সহকারি পরিচালক মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, ওয়ালটন টিভির উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে উচ্চ গতির অটো ইনসারশন, এসএমটি (সারফেস মাউন্ট টেকনোলজি) মেশিন এবং পরিবেশ বান্ধব ওয়েব সোল্ডারিং মেশিন। পর্দার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ছবিকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সিআরটি টিভিতে কালো রং এর ম্যাট্রিক্স ব্যবহৃত হয়। এই প্রযুক্তিতে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে নিশ্চিত হচ্ছে সর্বোচ্চ মান।
জানা গেছে, ওয়ালটনের সিআরটি টিভির ভিউয়িং এ্যাঙ্গেল আনলিমিটেড হওয়ায় যে কোনো এ্যাঙ্গেল থেকে ভালো ছবি দেখা যায়। পাশাপাশি কালার টেম্পারেচার ৯৩০০ক্ক ক হওয়ায় ওয়ালটন টিভি চোখের জন্য সহনীয়। তাছাড়া অপ্রয়োজনীয় সংকেতকে পরিশ্রুত করে অডিও-ভিডিও সংকেতকে আরো সমৃদ্ধ করতে হাইপার ব্র্যান্ডের টিউনারে আছে ত্রিমাত্রিক ফিল্টার।
বাংলাদেশ টিভি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর ১২ থেকে ১৩ লাখ টেলিভিশন দেশে উৎপাদন ও সংযোজন হয়। প্রায় ২ লাখ টেলিভিশন সরাসরি আমদানি হচ্ছে।
গুণগত উচ্চমানের পাশাপাশি কালারের ভেরিয়েশন ও দেশব্যাপী সার্ভিসিং নেটওয়ার্ক থাকায় ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। গ্রাহক সেবা দিতে সারা দেশে কাজ করছেন প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানসহ ১২শ’রও বেশি দক্ষ কর্মী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top