আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডাকিনিবিদ্যার অস্তিত্ব আছে কি না, কে জানে। তবে মাঝেমধ্যে শোনা যায় ডাকিনিদের তন্ত্রমন্ত্রের কথা। পৈশাচিক তন্ত্রসাধক এসব ডাকিনি তাদের অশরীরী ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে লোকজনের অনিষ্ট করে থাকে। ডাকিনিদের ডাইনি বলেও অভিহিত করা হয়।
ভারতের আসাম রাজ্যের একটি গ্রামে এক বৃদ্ধ নারীর মুণ্ডপাত করেছে গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ- ওই নারী ডাইনি। দিনি তার পৈশাচিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে গ্রামের নারী ও শিশুদের রোগে ভুগিয়ে মারেন।
৬৩ বছর বয়সি পুর্নি ওরাং। গ্রামে অশুভ কোনো কিছু ঘটলেই পুর্নিকে দায়ী করে গ্রামের লোকজন। গ্রামবাসীর দাবি, ডাইনি বুড়ি পুর্নি ওরাং তাদের ক্ষতি করে আসছে।
আসামের সোনিতপুর জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকদের থাকার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সেখানেই থাকতেন পুর্নি। কয়েক দিন ধরে গ্রামের লোকজন অসুস্থতায় ভুগছে। এজন্য দায়ী করা হয় পুর্নিকে। সোমবার ওই গ্রামের প্রায় ৬০ জন নারী দলবদ্ধ হয়ে হামলা চালায় তার ওপর। তাকে বিবস্ত্র করে পেটানো হয়। পরে দেহ থেকে তার মাথা আলাদা করে দেয় ক্ষুব্ধ নারীরা। অবশ্য তাদের সঙ্গে কয়েকজন পুরুষও ছিল।
এই ঘটনায় দুই নারীসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ভারতের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। গত ছয় বছরে ‘ডাইনি বলে’ ৬৩ জনকে হত্যা করেছে লোকজন।
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।