সকল মেনু

ভালোবাসার চিহ্ন প্লুটোতে !

pluto1436778761 বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : পৃথিবী থেকে ৭৫০ কোটি কিলোমিটার দূরে ভালোবাসার প্রতীক! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, বাস্তবেই এই চিত্র দেখা গেছে। নাসার মহাকাশযানের তোলা প্লুটোর ছবিতে দেখা গেছে, গ্রহটির একাংশে ‘লাভ সাইন’ বা ‘হৃদয়ের চিহ্ন’। সুবিশাল হৃদয় চিহ্ন জ্বলজ্বল করছে প্লুটোতে।

১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সৌরজগতের নবম গ্রহ হিসেবে পরিচিত ছিল প্লুটো। কিন্তু ২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন গ্রহের সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করার পর প্লুটো তার গ্রহত্ব হারায়। তবে গ্রহ হিসেবে মর্যাদা হারানো প্লুটোর ভাগ্য খুলতে পারে। গ্রহের ‘সম্মান’ ফিরতে পারে প্লুটোর। দুই দশক পরে সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার পাঠানো ‘নিউ হরাইজন্স’ নামক মহাকাশযান প্লুটোর কাছে পৌঁছাচ্ছে। গবেষকেরা আশা করছেন, শিগগিরই প্লুটো গ্রহের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য কিনা— এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা এ বিতর্কের অবসান হবে।

মহাকাশবিদ জন স্পেনসারের কথায়, ‘চাঁদে মানুষের পা রাখার মতোই সাফল্য পাচ্ছি প্লুটো গবেষণায়। খুব শিগগিরই ওই গ্রহের নানা রহস্যের সমাধান হতে চলেছে।’

টাইমস অব ইন্ডিয়ার বাংলা সংস্করণের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ‘নিউ হরাইজন্স’ নামক ওই মহাকাশযান প্লুটোর খুব কাছ থেকে কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছে। সেই ছবিগুলোতেই ধরা পড়েছে প্লুটোয় ভালোবাসার প্রতীকের চিহ্ন। একই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে রহস্যময় অন্ধকার একটি অংশ। এই প্রথম প্লুটোর এত কাছের ছবি হাতে পেয়েছে নাসা।

মহাকাশযানের পাঠানো ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আলোকজ্জ্বল হৃদয়ের পাশেই অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক। কিন্তু কেন এই বৈপরিত্য, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। নাসার গবেষকদের মতে, প্লুটোর কাছে পাঠানো নিউ হরাইজন্স খুব শিগগিরই রহস্যের কিনারা করে দেবে। প্রাথমিকভাবে তাদের অনুমান, ওই ‘লাভ সাইন’ হয়তো বরফজমাট এলাকা।

প্লুটো অভিযানে নিউ হরাইজন্স পৃথিবী থেকে যাত্রা করে ২০০৬ সালে। প্রায় ১০ বছরে ৩০০ কোটি মাইল পেরিয়েছে নিউ হরাইজন্স। সম্প্রতি নিউ হরাইজন্স প্লুটোর মাত্র ৯ হাজার ৯৭৭ কিলোমিটার দূর থেকে কয়েকটি ছবি তোলে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top