সকল মেনু

নরসিংদীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

Narsingdi_Picture1436552823

নিজস্ব প্রতিবেদক-নরসিংদী, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১১ জুলাই : নরসিংদীতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠছে ঈদের বাজার। ইফতারের কিছুটা সময় ছাড়া সকাল থেকে একটানা রাত পর্যন্ত চলছে এ কেনাকাটার কাজ। শহরের ছোট বড় সকল বিপনী বিতানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। ক্রেতাদের ভিড়ে অধিকাংশ মার্কেট ও রাস্তায় হাঁটা চলাই কষ্ঠসাধ্য হয়ে উঠেছে। বিপনি বিতানগুলোর বিক্রেতারা জানান, এবারের ঈদ বাজারে নারীদের জন্য ভারতীয় বাহারি নামের আকর্ষণীয় পোশাকের সম্ভার রয়েছে। ভারতীয় বিভিন্ন টেলিভিশন সিরিয়ালের বদৌলতে দেশিয় পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ নেই। এ কারণেই সিরিয়াল দেখে শুধুমাত্র নামের আকর্ষণে তরুণীরা ভারতে তৈরি পোশাক বেশি কিনছেন।
ক্রেতারা বলছেন, তারা ঘুরে ঘুরে বাজার যাচাই করছেন, তারপর পছন্দের পোশাক কিনছেন। দাম কিছুটা বেশি হলেও তা সাধ্যের বাইরে নয়। তবে বেশ ভিড় দেখা গেল পোশাক, জুতা, খেলনা এবং বিভিন্ন প্রসাধনীর দোকানগুলোতেও।
এবার নরসিংদীর বাজারে ছেলেদের জন্য এক থেকে ১৫ হাজার টাকায় রাজশাহী সিল্ক পাঞ্জাবি, ইন্ডিয়ান কিউজি পাঞ্জাবি, খদ্দর পাঞ্জাবি, সুতি পাঞ্জাবি, এনডি সিল্ক পাঞ্জাবি এবং সেরওয়ানি পাওয়া যাচ্ছে। আর আটশ থেকে চার হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শার্ট। এ ছাড়া দুই থেকে আট হাজার টাকায় মেয়ে শিশুদের ওয়েস্টার্ন সেট, পার্টি ফ্রক, মিডি, লাছা, টপস, স্কার্ট এবং ছেলে শিশুদের জন্য এক হাজার থেকে সাত হাজার টাকায় বাবা সেট, বয়েজ গেঞ্জি, থ্রি-কোয়ার্টার, ফোর কোয়ার্টার, কোটি শার্ট এবং বিশেষ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নামানুসারে মোদি কোর্টের বেশ চাহিদা রয়েছে। তবে নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে। এসব দোকানের বিক্রেতারা বলছেন, কমদামে পছন্দের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে বলে নিম্ন আয়ের মানুষ ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানে। কমদামে স্বল্প বাজেটে পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে বৈরি অবহাওয়ার কারণে ফুটপাতে বিক্রেতাদের বেশ সমস্যা হচ্ছে। তাদের ক্রেতার সংখ্যা আশানুরূপ হচ্ছে না। তবে দোকানীরা পলিথিন টানিয়ে দোকান সাজাতে কোনো কার্পণ্য করেনি।
নরসিংদীর ইনডেক্স প্লাজা,কাজী মার্কেট, মুন্সি নিয়াজ মার্কেট, শশী প্লাজা, নয়ন তারা প্লাজা, সুলতান উদ্দিন শপিং কমপ্লেক্স ও কালিবাড়ী মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে ভারত ও চীনের তৈরি পোষাকের একচেটিয়া প্রাধান্য। দোকানিরা বলছে, ক্রেতাদের চাহিদার জন্যই এসব বিদেশি জিনিসপত্রের আমদানি করতে হয়। তবে এবার নায়িকার নামে পোশাকের নাম। বাদ যায়নি হিন্দি কিংবা বাংলা সিরিয়ালের নায়িকাদের নামও। পাখি, ক্যাটরিনা ও কারিনাকে ছাপিয়ে এবার ঈদে মেয়েদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে কিরণমালা, ফ্লোরটাস, কটকটি ও ব্যানসন নামে বাহারি ডিজাইনের পোশাক। আসন্ন ঈদে নতুন নামের এসব পোশাক কিনতে নরসিংদীর বিভিন্ন মার্কেটে তরুণীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রেতাদেরও দম ফেলার ফুসরত নেই। তাই তারা তাদের ইচ্ছা মতো দাম হাঁকাচ্ছেন। আর ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে আত্মীয় পরিজনের জন্য পোশাক কিনতে ক্রেতারাও দামামামি করছেন। কেউ কেউ দোকানিদের হাঁকানো দামেই কিনে নিচ্ছেন খুশি মনে। ব্যবসায়ীরা জানান, সারা বছর তারা এ সময়টির জন্য অপেক্ষায় থাকেন। কারণ এই সময়টায় ধনী-গরিব সবাই কিছু না কিছু কেনাকাটা করে। তাই সারা বছরের অপেক্ষার সুফল তারা অনেকটা ঘরে তুলতে পারেন এ সময়ে। নরসিংদী সুতাপট্টির শাড়ির দোকানের মালিক টিটু সাহা জানান, আগের তুলনায় শাড়ির চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। কারণ মেয়েরা এখন শাড়ির তুলনায় থ্রি পিছ পরতে বেশি পছন্দ করেন। সে জন্য তার দোকনে বিক্রির পরিমাণ কিছুটা কম। তবুও প্রতিদিন গড়ে তার বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
হৃদয় ফ্যাশনের মালিক বলেন, ‘এবারের ঈদে নারীদের পোশাকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চলছে কিরণমালা ও ফ্লোরটাস। গতবার পাখি জামার চাহিদা থাকলেও এবারে একদম নেই।’ অন্যদিকে জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। মনিকা সুজের মালিক সানাউল্লা সরকার জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রির পরিমাণ একটু বেশি।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top