সকল মেনু

শাহরুখের অনুপ্রেরণা জাগানো ১০ সংলাপ

images বিনোদন ডেস্ক : খুব সাধারণ পরিবার থেকে পথ চলা শুরু বলিউড তারকা শাহরুখ খানের। তারপর আত্মবিশ্বাস, মেধা আর কর্মগুণে আজ বলিউডের বাদশা হয়েছেন তিনি। যে সব উঠতি তরুণ তরুণী বলেন, ‘আমার বাবা বা কোনো আত্মীয় বলিউডে নেই তাই আমার আর কিছু হবে না।’ শাহরুখ খান হলেন তাদের মুখে একটা কড়া জবাব।

আর যারা সাধারণ পরিবার থেকে এসে বলিউডে কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করছেন কিং খান তাদের জন্য অনুপ্রেরণা। শাহরুখ খান যখন প্রথম মুম্বাই এসেছিলেন- তখন তার চোখে একরাশ স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই ছিল না। চেহারা ছিল খুবই সাধারণ, কোনো বিশেষত্বই ছিল না তার মধ্যে। তবুও আজ তিনি বলিউডের কিং।

এর মূল কারণ শুধু কঠোর পরিশ্রম। শাহরুখের কথায়, যে স্বপ্নের পিছু আমি নিয়েছিলাম, সেই স্বপ্নই আমার এই পথ চলা শুরু করিয়ে দিয়েছে। এই যাত্রাপথ আমাকে আমার লক্ষ্যের চেয়েও অনেক বেশি কিছু উপহার দিয়েছে। তা হলো সাফল্য। এটা যদি তার বাস্তবের জীবনের সংলাপ হয়, তাহলে ছবির পর্দাতেও কিং খান এমন কিছু সংলাপ বলেছে যা সত্যিই অনুপ্রেরণা জোগায়। প্রেরণা জোগানো এমন দশ সংলাপ নিয়েই এ রচনা।

বাজিগর (১৯৯৩) : ‘কভি কভি কুছ জিতনে কে লিয়ে হারনা পরতা হ্যায়। অউর হারকে জিতনে ওয়ালো কো বাজিগর কহতে হ্যায়।’ (কখনো কখনো জেতার জন্য হারতে হয়। যে হেরে জিততে শেখে তাকে লোক বাজিগর বলে।)

মহব্বতে (২০০০) : ‘মহব্বত ভি জিন্দেগি কী তারহা হোতি হ্যায়। হর মোড় আসান নেহি হোতা, হর মোড় পে খুশি নেহি হোতি, পর যব হাম জিন্দেগি কা সাথ নেহি ছোড়তে… ফির মহব্বত কা সাথ কিউ ছোড়ে।’ (ভালোবাসাই জীবনের আলো। জীবনের প্রতিটি মোড় নিরাপদ নয়, প্রতিটি মোড়ে সুখ থাকে না, এর পরও আমরা যদি জীবনকে না ছাড়ি তাহলে কেন ভালোবাসাকে ছেড়ে যাব।)

কভি খুশি কভি গম (২০০১) : ‘জিন্দেগি মে কুছ বননা হো, কুছ হাসিল করনা হো, কুছ জিতনা হো, তো হামেশা আপনি দিল কি শুনো…অওর আগর দিল সে ভি কোই জবাব না আয়ে… তো আপনি আঁখে বন্ধ করকে আপনি মা অওর বাবাকা নাম লো… ফির দেখনা তুম, হর মনজিল পা সকোগে, হর মুশকিল আসান হো জায়েগি…জিত তুমহারি হোগি… সিরফ তুমহারি..।’ (জীবনে যদি কিছু হতে চাও, মহৎ কিছু পেতে চাও, যদি বিজয়ী হতে চাও তাহলে মন যা বলে তাই কর। আর মন যদি কিছু না বলে তবে চোখ বন্ধ করে তোমার পিতামাতাকে স্মরণ কর। তার পর দেখ তুমি অনায়াসেই তোমার পথ পাড়ি দিতে পেরেছ। সব সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। তোমারই জয় হবে। জয় শুধু তোমারই।)

স্বদেশ (২০০৪) : ‘হাম সব এক দুসরে কো দোষ, দে রহে হ্যায়…জব কি সচ্চাই ইয়ে হ্যায় কি…হাম সবহি দোষি হ্যায়।’ (আমরা এক জন আরেক জনকে দোষারোপ করি, কিন্তু সত্যটা হল আমরা সকলেই দোষী।)

স্বদেশ (২০০৪) : ‘ম্যায় নেহি মানতা হামারা দেশ দুনিয়া কা সবসে মহান দেশ হ্যায়… লেকিন ইয়ে জরুর মানতা হু কে হামমে কাবিলিয়াত হ্যায়, তাকত হ্যায়, আপনে দেশ কো মহান বানানে কি।’ (আমি বলছি না যে আমার দেশ পৃথিবীতে সবচেয়ে সেরা। কিন্তু এটা বিশ্বাস করি যে সেরা হওয়ার জন্য আমাদের শক্তি ও সামর্থ আছে।)

ওম শান্তি ওম (২০০৭) : ‘ক্যাহতে হ্যায় কি …আগর কিসি চিজ কো দিল সে চাহো তো পুরি কায়েনাত উসে তুমসে মিলানে কি কোশিস মে লাগ যাতি হ্যায়।’ (যদি কোনো কিছু মন থেকে চাও তবে পুরো বিশ্বই তোমাকে তা দেওয়ার জন্য কাজ করবে।)

চাক দে ইন্ডিয়া (২০০৭) : ‘বার করনা হ্যায় তো সামনে ওয়ালে কি গোল পর নেহি…সামনেওয়ালে কি দিমাগ পর করো…গোল খুদ-বা-খুদ হো জায়েগা।’ (বার পার করা জন্য সামনের গোলপোস্টের দিকে না দেখে সামনে যে আছে তাকে অতিক্রম কর। গোল এমনই হয়ে যাবে।)

চাক দে ইন্ডিয়া (২০০৭) : ‘জো নেহি হো সকতা …ওহি তো করনা হ্যায়।’ (যা কখনই হয় নাই সেটাই করে দেখাও।)

চাক দে ইন্ডিয়া (২০০৭) : ‘টিম বানানে কে লিয়ে তাকত নেহি….নিয়ত চাহিয়ে।’ (দল গড়ার জন্য শক্তি নয় লক্ষ্য প্রয়োজন।)

হ্যাপি নিউ ইয়ার (২০১৪) : ‘দুনিয়া মে দো তরহা কে লোগ হোতে হ্যায়…উইনার অ্যান্ড লুজার। লেকিন জিন্দেগি হর লুজারকো ওহ এখ মওকা জরুর দেতি হ্যায়, জিসমে ওহ উইনার বন সকতা হ্যায়।’ (পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছে। বিজয়ী আর পরাজিত। তবে জীবন প্রতিটি পরাজিতকে অবশ্যই একটা সুযোগ দেয়। যে সেই সুযোগ নিতে পারে সেই বিজয়ী হয়।)

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top