ভোলা প্রতিনিধি হটনিউজ২৪বিডিডটকম: ভোলার মনপুরায় উত্তাল মেঘনা নদীতে ১০ টি রুটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিটনেস বিহীন ছোট ছোট ট্রলার দিয়ে চলছে যাত্রী ও মালামাল পারাপার। ডেঞ্জার জোনে এসব ট্রলার পারাপারে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেনান ট্রলার মালিকরা। এদিকে অন্য কোন বিকল্প যানবাহন না থাকায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। একের পর এক নৌ-দূর্ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছেন। প্রতিদিনই মেঘনার ডেঞ্জার জোন দিয়ে অবৈধ ভাবে চলছে যাত্রী ও মালামাল পারাপার। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ী দিতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারন মানুষ। ফলে গত ১ মাসে বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রী ও মালা নিয়ে ৩টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ জনের মৃত্যু, ২ জন নিখোঁজ, ১৭ মেট্রিক টন ত্রানের চাউল, বাজার ব্যাবসায়ীদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার য়-তিসহ ১০টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনপুরা উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন চর, তজুমুদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন, হাতিয়া ও চেয়ারম্যান ঘাটের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম নৌ-যোগাযোগ। বিচ্ছিন্ন এসব চর ও বিভিন্ন উপজেলার নৌ-পথে চলছে অবৈধ ভাবে ছোট ছোট ট্রলার। ফিটনেস ও অনুমোদন বিহীন অবৈধ ইঞ্জিন চালিত ছোট ট্রলারের সংখ্যাও তাই দিন দিন বাড়ছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ রুটগুলোর মধ্যে রয়েছেÑমনপুরা-টু-তজুমদ্দিন, হাজিরহাট-টু-কলাতলীর চর, রিজির খাল-টু-চেয়ারম্যানের ঘাট (৪ নম্বর ঘাট), রামনেওয়াজ-কলাতলী, হাজির হাট-চরফ্যাশন, জনতা বাজার-চরফ্যাশন, সাকুচিয়া-চর নিজাম, হাজির হাট-মঙ্গল সিকদার, রামনেওয়াজ-চেয়ারম্যান ঘাট, সাকুচিয়া-কলাতলী। এসব রুটে বর্ষা মৌসূমে মেঘনা উত্তাল থাকে। এই উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়েই যাত্রীরা চলাচল করছে। আর তাই প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণ হানী ও নানা দুর্ঘটনা।
মনপুরার রিজির খালের যাত্রী জসিম, ছলেমান, আছিয়া বেগম জানান, এইসব রুটে সি-ট্রাক বা অন্য কোন লঞ্চের ব্যবস্থা না থাকায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিচ্ছেন। নিরাপদে নৌ-চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে তাদের এই ঝুঁকি নিতে হতোনা।
হাজির হাট জংলার খাল এলাকার জসিম হাওলাদার বলেন, ফিটনেস বিহীন ট্রলার অবৈধভাবে উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিচ্ছে। ফলে প্রায়-ই নৌ-দুর্ঘটানার শিকার হচ্ছেন সাধারন যাত্রীরা। একদিকে ছোট ছোট ট্রলার অন্যদিকে অদ্য মাঝিদের খেয়াল খুশিমত ট্রলার চালানোর ফলে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যাত্রীরা মারাও যাচ্ছেন। প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার ভান করে ট্রলার চালানোর সহযোগীতা করছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, নৌ-যানের ফিটনেস পরীা না করা, চালকের প্রশিণ না থাকা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, আবহাওয়ার সর্তকর্তা বার্তা সর্ম্পকে না জানা, দুর্ঘটনার তদন্ত সঠিক ভাবে সম্পন্ন না করা, দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি না হওয়ায় কোন নিয়ম মানছেন না ট্রলার মালিকরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ এরশাদ হোসেন খাঁন বলেন, ডেঞ্জার জোন দিয়ে উত্তাল মেঘনায় টলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা আইন মানবেনা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।