সকল মেনু

সামনে যাওয়াটাই নাবিলার টার্গেট

1434921697লাইফস্টাইল ডেস্ক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২২ জুন : প্রবাসী শিক্ষানবিস নাবিলা। পুরো নাম জাকিয়া মাহবুব নাবিলা। স্বপ্ন ছিলো ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু দেশের সীমাবদ্ধ আসনে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তাই প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হয়েছিলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মায়াজালে বন্দীও হয়েছিলো। কিন্তু মনের কোনে নিভৃতে জায়গা করে নিয়েছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা। সেই স্বপ্ন পূরণে বাবা মা আর ছোট বোনকে নিয়ে অভিবাসন করেছে আমেরিকাতে। বর্তমানে লেখাপড়া করছে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের আন্ডারে লাগাউরদিয়া কম্যুনিটি কলেজে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ।
স্বপ্নের সিঁড়ি পাড়ি দিয়ে মাইক্রোসফট এ কাজ করার ইচ্ছা একই সাথে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করার। সব ইচ্ছা যাকে কেন্দ্র করে সে হলো প্রিয় মাতৃভূমি। দেশেই ফেরার ইচ্ছা তবে সেটা এমনভাবে যেন দেশে ভালো কিছু করতে পারে। দেশে ফিরে মেধাবীদের জন্য এমন ক্ষেত্র তৈরি করার ইচ্ছা যাতে আর কাউকে বিদেশে পাড়ি জমাতে না হয়।
মেধাবী নাবিলা বিতর্কেও অনন্য। বিতর্কের শুরু দশম শ্রেণিতে। বিটিভির মা ও শিশু বিতর্ক টুর্নামেন্ট দিয়ে। কিন্তু প্রথম রাউন্ডের পর টেস্ট পরীক্ষা চলে আসায় বিত র্কে ইতি টানতে হয় এখানেই। এসএসসি, এইচএসসি দুটোতেই আসে জিপিএ ৫। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর আবার যুক্ত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক সংগঠন (জুডো) এর সাথে। থলিতে আসে বেশ কিছু অর্জন। ঢাকা ইউনিভার্সিটির ইকোনোমিকস ডিবেট টুর্নামেন্ট এ  সেমি-ফাইনালিস্ট। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট সংগঠন (জুডো) এর সপ্তম আন্ত:বিভাগীয় বারোয়ারী বিতর্কে দ্বিতীয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক সংগঠন এর সপ্তম আন্তঃবিভাগীয় বিতর্কে চ্যাম্পিয়ান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি অব ইকোনোমিক এর আয়োজনে তৃতীয় জাতীয় আন্তঃক্লাব পাবলিক স্পিকিং এ ফার্স্ব রানার-আপ। বাবা মা ছোট্ট বোনকে নিয়ে পাড়ি দেয় সুদূর আমেরিকা। মা বাবা চাচা পাশে থাকলেও ভিতরটা অন্তঃসারশূন্য থাকে নাবিলার। প্রাণবন্ত নাবিলার ভাষায় ‘একসাথে কাজ ও পড়ালেখা চালিয়ে নেয়া খুব টাফ। এখানে সবাই রোবোটিক লাইফ লিড করে তারা প্রাণবন্ত নয়। নিউ ইয়র্ক মানেই গতি। সব কিছুই টাইম এবং সিডিউল অনুযায়ী চলে। এমনকি এখানের মানুষের আনন্দগুলোও আমাদের মতো প্রাণবন্ত নয়’।
তারপরেও এখানে আসতে পারাকে নাবিলা দেখছেন টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে। এখানের বিদেশি মানুষগুলোর সহযোগিতা নাবিলাকে সকল ধরনের পরিশ্রম করা সহজ করে দিয়েছে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উত্সাহ যুগিয়েছে।  তাই এখানে পড়া শেষ করে আরো সামনে যাওয়াটাই নাবিলার টার্গেট।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top