সকল মেনু

মে মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে

Picture701433920435অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে সব ধরনের খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কমেছে গড় বাৎসরিক মূল্যস্ফীতিও। কিন্তু বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্যমতে, পয়েন্ট ২ পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশে। আগের মাসে যা ছিল ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।

এ ছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি মাসিক ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশ।

বুধবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে মিট দ্য প্রেসে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাজেটে আমরা মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছি। মূল্যস্ফীতি এর মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আশাকরি আগামী মাসেও মূল্যস্ফীতির হার বাড়বে না।

তিনি বলেন, তবে ঈদে সামান্য প্রভাব পড়তে পারে। আগে রোজার সময় যে হাহাকার ছিল তা এবার থাকবে না বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

মূল্যস্ফীতি কমার কারণ হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি, পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থসহ সকল পণ্যের দাম কমে গেছে। এ জন্য দেশেও মূল্যস্ফীতি কমেছে। তা ছাড়া ভারতের মূল্যস্ফীতিও কমেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে এর প্রভাব পড়েছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী জানা যায়, গ্রামগুলোতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মুল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূণ্যে ৯ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দশমিক দুই হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ ছিল। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার অনেক কমেছে। গত বছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

এ ছাড়া ২০১৪ সালের জুন থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত গত এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতির হার নির্ণয় করা হয়েছে শতকরা ৬ দশমিক ৪৬ ভাগ। এর আগের এক বছরের একই সময়ের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৭ দশমিক ৪৪ ভাগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top